Az-Zukhruf

Page 441

۟
‘হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে রাজত্ব দান করেছ, আর আমাকে স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিখিয়েছ। আসমান যমীনের সৃষ্টিকর্তা! তুমিই দুনিয়ায় আর আখেরাতে আমার অভিভাবক, তুমি মুসলিম অবস্থায় আমার মৃত্যু দান করো এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করো।’
۟
অদৃশ্য জগতের খবর থেকে এটা তোমাকে ওয়াহী করে জানালাম। ষড়যন্ত্র করার সময় যখন তারা তাদের কাজে জোটবদ্ধ হয়েছিল তখন তুমি তো তাদের কাছে ছিলে না।
۟
তুমি যত প্রবল আগ্রহ ভরেই চাও না কেন, মানুষদের অধিকাংশই ঈমান আনবে না।
۟۠
তুমি তার জন্য তাদের কাছে কোন পারিশ্রমিক চাচ্ছ না, এটা তো বিশ্বজগতের সকলের জন্য উপদেশ মাত্র।
۟
আসমানে আর যমীনে বহু নিদর্শন আছে যেগুলোর উপর দিয়ে তারা (প্রতিনিয়ত) অতিক্রম করে কিন্তু এসব কিছু থেকে তারা অবজ্ঞা করছে।
۟
অধিকাংশ মানুষ আল্লাহতে বিশ্বাস করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে।
۟
তারা কি নিশ্চিন্ত যে, আল্লাহর সর্বগ্রাসী ‘আযাব তাদের উপর এসে পড়বে না? কিংবা হঠাৎ ক্বিয়ামাত তাদের উপর এসে পড়বে না যা তারা টেরও পাবে না?
۟
বল, ‘এটাই আমার পথ, আল্লাহর পথে আহবান জানাচ্ছি, আমি ও আমার অনুসারীরা, স্পষ্ট জ্ঞানের মাধ্যমে। আল্লাহ মহান, পবিত্র; আমি কক্ষনো মুশরিকদের মধ্যে শামিল হব না।
۟
তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্যে যাদের কাছে ওয়াহী করতাম তারা পুরুষ মানুষ ব্যতীত ছিল না। তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করতঃ দেখে না যে, তাদের পূর্ববর্তী লোকেদের পরিণাম কী হয়েছিল? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, নিশ্চিতই পরলোকের ঘর তাদের আরো উত্তম, তবুও কি তোমরা বুঝবে না?
۟
(হে নাবী! তোমার পূর্বেও এমন ঘটেছে যে,) শেষ পর্যন্ত রসূলগণ নিরাশ হয়েছে, আর লোকেরা মনে করেছে যে, তাদেরকে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে, তখন তাদের (রাসূলদের) কাছে আমার সাহায্য এসে পৌঁছেছে, এভাবেই আমি যাকে ইচ্ছে রক্ষা করি। অপরাধী সম্প্রদায় থেকে আমার শাস্তি কক্ষনো ফিরিয়ে নেয়া হয় না।
۟۠
এদের কাহিনীসমূহে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় আছে। এ কুরআন কোন মিথ্যে রচনা নয়, বরং তাদের পূর্বে আগত কিতাবের প্রত্যয়নকারী আর যাবতীয় বিষয়ের বিস্তারিত বিররণে সমৃদ্ধ, আর মু’মিন সম্প্রদায়ের জন্য পথের দিশারী ও রহমাত।
Notes placeholders