56:41至56:50节的经注
وَاَصْحٰبُ
الشِّمَالِ ۙ۬
مَاۤ
اَصْحٰبُ
الشِّمَالِ
۟ؕ
فِیْ
سَمُوْمٍ
وَّحَمِیْمٍ
۟ۙ
وَّظِلٍّ
مِّنْ
یَّحْمُوْمٍ
۟ۙ
لَّا
بَارِدٍ
وَّلَا
كَرِیْمٍ
۟
اِنَّهُمْ
كَانُوْا
قَبْلَ
ذٰلِكَ
مُتْرَفِیْنَ
۟ۚۖ
وَكَانُوْا
یُصِرُّوْنَ
عَلَی
الْحِنْثِ
الْعَظِیْمِ
۟ۚ
وَكَانُوْا
یَقُوْلُوْنَ ۙ۬
اَىِٕذَا
مِتْنَا
وَكُنَّا
تُرَابًا
وَّعِظَامًا
ءَاِنَّا
لَمَبْعُوْثُوْنَ
۟ۙ
اَوَاٰبَآؤُنَا
الْاَوَّلُوْنَ
۟
قُلْ
اِنَّ
الْاَوَّلِیْنَ
وَالْاٰخِرِیْنَ
۟ۙ
لَمَجْمُوْعُوْنَ ۙ۬
اِلٰی
مِیْقَاتِ
یَوْمٍ
مَّعْلُوْمٍ
۟
3

৪১-৫৬ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তা'আলা আসহাবুল ইয়ামীন বা ডান দিকের লোকদের বর্ণনা দেয়ার পর এখন আসহাবুশ শিমাল বা বাম দিকের লোকদের বর্ণনা দিচ্ছেন যে, কত হতভাগা বাম দিকের দল! তারা কতই না কঠিন শাস্তি ভোগ করবে! অতঃপর তাদের শাস্তির বর্ণনা দিচ্ছেন যে, তারা থাকবে অত্যন্ত উষ্ণ বায়ু ও উত্তপ্ত পানিতে এবং কৃষ্ণবর্ণ ধূম্রের ছায়ায়। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবী)অর্থাৎ “তোমরা যাকে অস্বীকার করতে, চল তারই দিকে। চল তিন শাখা বিশিষ্ট ছায়ার দিকে, যে ছায়া শীতল নয় এবং যা রক্ষা করে না অগ্নিশিখা হতে। এটা উৎক্ষেপণ করবে বৃহৎ স্ফুলিঙ্গ অট্টালিকা তুল্য, ওটা পীতবর্ণ উষ্ট্ৰশ্রেণী সদৃশ। সেই দিন দুর্ভোগ মিথ্যা আরোপকারীদের জন্যে।” (৭৭:২৯-৩৪) এজন্যেই এখানে বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ তারা থাকবে কৃষ্ণ বর্ণ ধূম্র ছায়ায়। যা শীতল নয়, আরামদায়কও নয়। এটা আরবদের বাক পদ্ধতি যে, তারা যখন কোন জিনিসের মন্দ গুণ অধিক রূপে বর্ণনা করে তখন ওর সর্বপ্রকারের খারাপ গুণ বর্ণনা করার পর (আরবী) বলে থাকে। অতঃপর আল্লাহ তা'আলা এ লোকেদেরকে শাস্তির যোগ্য বলার কারণ বর্ণনা করছেন যে, দুনিয়ায় তাদেরকে যে নিয়ামতের অধিকারী করা হয়েছিল তার মধ্যে তারা মত্ত ছিল। রাসূলদের (আঃ) কথায় তারা মোটেই ভ্রুক্ষেপ করেনি। তারা ভোগ-বিলাসে সম্পূর্ণরূপে মগ্ন ছিল এবং অবিরাম ঘোরতর পাপকর্মে লিপ্ত ছিল।হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর উক্তি এই যে, (আরবী) দ্বারা কুফরী ও শিরক উদ্দেশ্য। কেউ কেউ বলেন যে, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো মিথ্যা কসম।এরপর তাদের আর একটি দোষের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে যে, তারা কিয়ামত সংঘটিত হওয়াকেও অসম্ভব মনে করে। তারা এটাকে মিথ্যা মনে করে এবং জ্ঞান সম্পর্কীয় দলীল পেশ করে যে, মৃত্যুর পরে মাটিতে মিশে গিয়ে পুনরায় জীবিত হওয়া কি কখনো সম্ভব হতে পারে? তাদেরকে উত্তর দেয়া হচ্ছে যে, কিয়ামতের দিন সমস্ত আদম সন্তানকে পুনরায় নতুনভাবে সৃষ্টি করা হবে এবং সবাই এক মাঠে একত্রিত হবে। একজন লোকও এমন থাকবে না যে দুনিয়ায় এসেছে এবং সেখানে থাকবে না। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবী)অর্থাৎ “এটা সেই দিন যেদিন সমস্ত মানুষকে একত্রিত করা হবে, এটা সেই দিন যেদিন সকলকে উপস্থিত করা হবে। আর আমি নির্দিষ্ট কিছুকালের জন্যে ওটা স্থগিত রাখি মাত্র। যখন সেদিন আসবে তখন আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত। কেউ কথা বলতে পারবে না। তাদের মধ্যে কেউ হবে হতভাগ্য এবং কেউ হবে ভাগ্যবান।” (১১:১০৩-১০৫) এ জন্যেই আল্লাহ তাআলা এখানে বলেনঃ “সকলকে একত্রিত করা হবে এক নির্ধারিত দিনের নির্দিষ্ট সময়ে।” কিয়ামতের দিন এবং সময় নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত রয়েছে। কম বেশী এবং আগে পরে হবে না।প্রবল প্রতাপান্বিত আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর হে বিভ্রান্ত মিথ্যা আরোপকারীরা! তোমরা অবশ্যই আহার করবে যাকূম বৃক্ষ হতে এবং ওটা দ্বারা তোমরা উদর পূর্ণ করবে। কেননা, ওটা জোরপূর্বক তোমাদের কণ্ঠনালীতে ঢুকিয়ে দেয়া হবে। তারপর তোমরা পান করবে অত্যুষ্ণ পানি এবং ঐ পানি তোমরা পান করবে তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রের ন্যায়।(আরবী) শব্দটি বহুবচন, এর একবচন হলো (আরবী) এবং স্ত্রীলিঙ্গ (আরবী) হবে। এটাকে (আরবী) এবং (আরবী) ও বলা হয়। কঠিন তৃষ্ণার্ত উষ্ট্রকে (আরবী) বলা হয়, যার পিপাসাযুক্ত রোগ রয়েছে। সে পানি চুষে নেয় কিন্তু পিপাসা দূর হয় না। এই রোগেই সে শেষে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। অনুরূপভাবে জাহান্নামীকে গরম পানি পান করাবো, যা নিজেই একটা জঘন্যতম শাস্তি হবে। সুতরাং এর দ্বারা পিপাসা কিরূপে নিবারণ হতে পারে? হযরত খালিদ ইবনে মাদান (রাঃ) বলেন যে, একই নিঃশ্বাসে পানি পান করাও পিপাসার্ত উষ্ট্রের পানের সাথে তুলনীয়। এ জন্যে এভাবে পানি পান করা মাকরূহ!এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ বলেনঃ “কিয়ামতের দিন এটাই হবে তাদের আপ্যায়ন। যেমন মুমিনদের সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ (আরবী) অর্থাৎ “নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্যে আছে ফিরদাউসের উদ্যান।” (১৮:১০৭) অর্থাৎ সম্মানিত আপ্যায়ন।