21:89至21:90节的经注
وَزَكَرِیَّاۤ
اِذْ
نَادٰی
رَبَّهٗ
رَبِّ
لَا
تَذَرْنِیْ
فَرْدًا
وَّاَنْتَ
خَیْرُ
الْوٰرِثِیْنَ
۟ۚۖ
فَاسْتَجَبْنَا
لَهٗ ؗ
وَوَهَبْنَا
لَهٗ
یَحْیٰی
وَاَصْلَحْنَا
لَهٗ
زَوْجَهٗ ؕ
اِنَّهُمْ
كَانُوْا
یُسٰرِعُوْنَ
فِی
الْخَیْرٰتِ
وَیَدْعُوْنَنَا
رَغَبًا
وَّرَهَبًا ؕ
وَكَانُوْا
لَنَا
خٰشِعِیْنَ
۟
3

৮৯-৯০ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা স্বীয় বান্দা হযরত যাকারিয়্যার (আঃ) খবর দিচ্ছেন যে, তিনি প্রার্থনা করেছিলেনঃ “আমাকে একটি সন্তান দান করুন, যে আমার পরে নবী হবে।” সূরায়ে মারইয়াম ও সূরায়ে আল-ইমরানে এই ঘটনা বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত হয়েছে। তিনি এই দুআ’ নির্জনে করেছিলেন। ‘আমাকে একা ছেড়ে দিয়েন না, এই উক্তির তাৎপর্য হচ্ছেঃ আমাকে সন্তানহীন করবেন না। দুআ ও চাওয়ার জন্যে তিনি আল্লাহর যথাযোগ্য প্রশংসা করেছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রার্থনা কবূল করেন এবং তার যে স্ত্রী বার্ধক্যে উপনীত হয়েছিলেন তাকে তিনি সন্তানের যোগ্যা করে তোলেন। হযরত ইবন আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রঃ) এবং হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ) বলেন যে, তিনি বন্ধ্যা ছিলেন, অতঃপর তিনি সন্তান প্রসব করেন। আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রঃ) তালহা ইবনু আমর (রঃ) হতে, তিনি আতা (রঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তাঁর লম্বা চওড়া কথা বন্ধ করে দেয়া হয়। আবার অন্য রিওয়াইয়াতে আছে যে, তার চরিত্রে কিছু ত্রুটি ছিল তা সংশোধন করে দেয়া হয়। কিন্তু প্রথম অর্থটিই কুরআনের ভাষার বেশী নিকটবর্তী।মহান আল্লাহ বলেনঃ তারা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করতো। তারা আমাকে ডাকতো আশা ও ভীতির সাথে এবং তারা ছিল আমার নিকট বিনীত। বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) একদা তাঁর এক ভাষণে বলেনঃ “হে লোক সকল! আমি তোমাদেরকে আল্লাহকে ভয় করতে থাকা, পূর্ণভাবে তাঁর প্রশংসা ও গুণকীর্তন করা, লোভ ও ভয়ের সাথে প্রার্থনা করা এবং প্রার্থনায় বিনয় প্রকাশ করার উপদেশ দিচ্ছি। দেখো, আল্লাহ তাআলা হযরত যাকারিয়্যার (আঃ) পরিবারের লোকদের এই ফযীলতই বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি- (আরবী) এই আয়াতাংশ টুকু পাঠ করেন।