قَالُوْۤا
اِنْ
یَّسْرِقْ
فَقَدْ
سَرَقَ
اَخٌ
لَّهٗ
مِنْ
قَبْلُ ۚ
فَاَسَرَّهَا
یُوْسُفُ
فِیْ
نَفْسِهٖ
وَلَمْ
یُبْدِهَا
لَهُمْ ۚ
قَالَ
اَنْتُمْ
شَرٌّ
مَّكَانًا ۚ
وَاللّٰهُ
اَعْلَمُ
بِمَا
تَصِفُوْنَ
۟
3

তারা বলল, ‘সে যদি চুরি করে থাকে, তাহলে তার (সহোদর) ভাইও তো ইতিপূর্বে চুরি করেছিল।’[১] কিন্তু ইউসুফ প্রকৃত ব্যাপার নিজের মনে গোপন রাখল এবং তাদের কাছে প্রকাশ করল না। সে (মনে মনে) বলল, ‘তোমাদের অবস্থা তো হীনতর[২] এবং তোমরা যা বলছ, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।’

[১] এটা তারা নিজেদের পবিত্রতা ও সাধুতা প্রকাশ করার জন্য বলেছিলেন। কেননা ইউসুফ (আঃ) ও বিনয়্যামীন উভয়ই তাঁদের সহোদর ভাই ছিলেন না বরং বৈমাত্রেয় ভাই ছিলেন। কতিপয় ব্যাখ্যাকারী ইউসুফ (আঃ)-এর চুরির ব্যাপারে দুটি রহস্যময় কথা উল্লেখ করেছেন, যা কোন নির্ভরযোগ্য প্রমাণের উপর ভিত্তিশীল নয়। বিশুদ্ধ কথা এটাই মনে হচ্ছে যে, তাঁরা নিজেদেরকে তো নেহাত সাধুতা ও সচ্চরিত্রের অধিকারী প্রমাণ করলেন। আর ইউসুফ (আঃ) ও বিনয়্যামীনকে হীন চরিত্রের সাব্যস্ত করলেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তাঁদেরকে চোর ও বেঈমান প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করলেন।

[২] ইউসুফ (আঃ)-এর এই উক্তি থেকেও স্পষ্ট হয় যে, তাঁরা তাঁর সম্বন্ধে চুরি করার কথা উল্লেখ করে স্পষ্ট মিথ্যা অপবাদ আরোপের কাজ করেছিলেন।