12:66 12:65 ایک تفسیر پڑھ رہے ہیں
وَلَمَّا
فَتَحُوْا
مَتَاعَهُمْ
وَجَدُوْا
بِضَاعَتَهُمْ
رُدَّتْ
اِلَیْهِمْ ؕ
قَالُوْا
یٰۤاَبَانَا
مَا
نَبْغِیْ ؕ
هٰذِهٖ
بِضَاعَتُنَا
رُدَّتْ
اِلَیْنَا ۚ
وَنَمِیْرُ
اَهْلَنَا
وَنَحْفَظُ
اَخَانَا
وَنَزْدَادُ
كَیْلَ
بَعِیْرٍ ؕ
ذٰلِكَ
كَیْلٌ
یَّسِیْرٌ
۟
قَالَ
لَنْ
اُرْسِلَهٗ
مَعَكُمْ
حَتّٰی
تُؤْتُوْنِ
مَوْثِقًا
مِّنَ
اللّٰهِ
لَتَاْتُنَّنِیْ
بِهٖۤ
اِلَّاۤ
اَنْ
یُّحَاطَ
بِكُمْ ۚ
فَلَمَّاۤ
اٰتَوْهُ
مَوْثِقَهُمْ
قَالَ
اللّٰهُ
عَلٰی
مَا
نَقُوْلُ
وَكِیْلٌ
۟
3

৬৫-৬৬ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা বলছেন যে, ইউসুফের (আঃ) ভ্রাতাগণ যখন তাদের মালপত্র খুললো তখন দেখলো যে, তাদের পণ্যমূল্য তাদেরকে প্রত্যর্পণ করা হয়েছে ঐগুলি হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর ভাইদের বিদায়ের সময় তাদের বস্তার মধ্যে গোপনীয়ভাবে ভরে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাড়ি গিয়ে যখন তাঁরা বস্তা খুলল তখন তাদের প্রদত্ত পণ্য মূল্য গুলি বস্তার মধ্যে দেখতে পেল। তা দেখে তাদের পিতাকে তারা বললোঃ “আব্বা! আর কি চান? দেখুন! মিসরের আযীয তো আমাদেরকে আমাদের পণ্য মূল্য পর্যন্ত ফিরিয়ে দিয়েছেন অথচ খাদ্য শস্য পুরোপুরি প্রদান করেছেন। আপনি এখন আমাদের ভাই বিনইয়ামীনকে আমাদের সাথে পাঠিয়ে দিন। আমরা আমাদের পরিবারের জন্যে রসদও আনবো এবং ভাই এর কারণে আরো এক উট বোঝাই খাদ্য পেয়ে যাবো। কেননা মিসরের আযীয প্রত্যেককে এক উট বোঝাই খাদ্যই দিয়ে থাকেন। আর আপনি আমাদের ভাই বিনইয়ামীনকে আমাদের সাথে পাঠানোর ব্যাপার চিন্তা করছেন কেন? আমরা পূর্ণভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এটা খুবই সহজ মাপ।" এই ছিল পিতার সাথে তাদের আলাপ আলোচনা হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁদের এসব কথার জবাবে বললেনঃ “যে পর্যন্ত তোমরা শপথ করে না বলবে যে, তোমরা তোমাদের এই ভাইকে আমার কাছে ফিরিয়ে আনবে সেই পর্যন্ত আমি তাকে তোমাদের সাথে পাঠাতে পারি না। হ্যাঁ, তবে যদি আল্লাহ না করুন তোমরা সবাই শত্রু কর্তৃক পরিবেষ্টিত হয়ে যাও তাহলে সেটা অন্য কথা।” এরপর হযরত ইয়াকুব (আঃ) বললেনঃ “আমরা যা কিছু বলছি, আল্লাহ তার বিধায়ক।” এ কথা বলে তিনি তাঁর প্রিয় পুত্র বিনইয়ামীনকে তাঁদের সাথে পাঠিয়ে দেন। কেননা, ওটা ছিল দুর্ভিক্ষের সময়। কাজেই প্রয়োজনের তাগিদে তাকে তাঁদের সাথে পাঠানো ছাড়া কোন উপায় ছিল না।