قُلْ
اِنِّیْ
نُهِیْتُ
اَنْ
اَعْبُدَ
الَّذِیْنَ
تَدْعُوْنَ
مِنْ
دُوْنِ
اللّٰهِ
لَمَّا
جَآءَنِیَ
الْبَیِّنٰتُ
مِنْ
رَّبِّیْ ؗ
وَاُمِرْتُ
اَنْ
اُسْلِمَ
لِرَبِّ
الْعٰلَمِیْنَ
۟
3

বল, ‘আমার প্রতিপালকের নিকট হতে আমার নিকট সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী আসার পর তোমরা আল্লাহ ব্যতীত যাকে আহবান কর, তার উপাসনা করতে আমাকে নিষেধ করা হয়েছে।[১] আর আমাকে আদেশ করা হয়েছে বিশ্ব-প্রতিপালকের নিকট আত্মসমর্পণ করতে।’[২]

[১] চাহে তা পাথরের মূর্তি হোক, নবী, অলী বা কবরে সমাধিস্থ মৃত হোক। সাহায্যের জন্য কাউকেও ডেকো না। তাদের নামে নযর মেনো না ও নজরানা দিয়ো না। তাদের নামে ওযীফা পড়ো না। তাদেরকে ভয় করো না এবং তাদের কাছে কোন কিছুর আশা করো না। কারণ, এগুলো এক-একটি ইবাদত, যা কেবল আল্লাহরই অধিকার।

[২] এগুলো বিবেকগ্রাহ্য যুক্তি এবং স্পষ্ট উক্তি ভিত্তিক এমন প্রমাণপুঞ্জ যার দ্বারা আল্লাহর একত্ব অর্থাৎ আল্লাহরই একমাত্র উপাস্য ও প্রতিপালক হওয়ার কথা সাব্যস্ত করে। আর এ কথা কুরআনের বহু স্থানে উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলাম অর্থ আত্মসমর্পণ করা, আনুগত্য ও অনুসরণের জন্য নত হওয়া। অর্থাৎ, আমাকে আদেশ করা হয়েছে, যাতে আমি আল্লাহর বিধি-বিধানের সামনে নত হয়ে যাই এবং তা থেকে বিমুখ না হই। পরের আয়াতে আরো কিছু তাওহীদের দলীলাদি বর্ণনা করা হচ্ছে।