Você está lendo um tafsir para o grupo de versos 21:48 a 21:50
وَلَقَدْ
اٰتَیْنَا
مُوْسٰی
وَهٰرُوْنَ
الْفُرْقَانَ
وَضِیَآءً
وَّذِكْرًا
لِّلْمُتَّقِیْنَ
۟ۙ
الَّذِیْنَ
یَخْشَوْنَ
رَبَّهُمْ
بِالْغَیْبِ
وَهُمْ
مِّنَ
السَّاعَةِ
مُشْفِقُوْنَ
۟
وَهٰذَا
ذِكْرٌ
مُّبٰرَكٌ
اَنْزَلْنٰهُ ؕ
اَفَاَنْتُمْ
لَهٗ
مُنْكِرُوْنَ
۟۠
3

৪৮-৫০ নং আয়াতের তাফসীর: আমরা পূর্বেও একথা বলেছি যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হযরত মূসা (আঃ) ও হযরত হারূণের (আঃ) বর্ণনা মিলিতভাবে এসেছে এবং অনুরূপভাবে কুরআন ও তাওরাতের বর্ণনায়ই এক সাথে দেয়া হয়েছে। ফুরকান দ্বারা কিতাব অর্থাৎ তাওরাত উদ্দেশ্য, যা সত্য ও মিথ্যা এবং হারাম ও হালালের মধ্যে পার্থক্যকারী ছিল। এর দ্বারা হযরত মূসা (আঃ) সাহায্য প্রাপ্ত হন। সমস্ত আসমানী কিতাবই হক ও বাতিল, হিদায়াত ও গুমরাহী ভাল ও মন্দ ও হারাম হালালের মধ্যে পার্থক্যকারী। এর দ্বারা অন্তরে জ্যোতি, আমলে সত্যতা, আল্লাহর ভয় এবং তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি লাভ হয়। এজন্যেই মহান আল্লাহ বলেনঃ মুত্তাকীন বা খোদাভীরুদের জন্যে এটা জ্যোতি ও উপদেশ।এরপর আল্লাহ তাআলা মুত্তাকীদের গুণাবলী বর্ণনা করছেন যে, তারা না দেখেও তাদের প্রতিপালককে ভয় করে এবং কিয়ামত সম্পর্কে তারা সদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। যেমন জান্নাতীদের গুণাবলী বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ পাক বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ ‘যারা না দেখে দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয়।" (৫০:৩৩) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “যারা দৃষ্টির অগোচরে তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও মহাপুরস্কার।" (৬৭:১২) মুত্তাকীদের দ্বিতীয় বিশেষণ এই যে, তারা কিয়ামত সম্পর্কে সদা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। ওর ভয়াবহ অবস্থার কথা চিন্তা করে তারা প্রকম্পিত হয়।এরপর মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ এই মহান ও পবিত্র কুরআন আমিই অবতীর্ণ করেছি। এর আশে পাশেও মিথ্যা আসতে পারে না। এটা বিজ্ঞানময় ও প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ হতে অবতারিত। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয় যে, এতো স্পষ্ট, সত্য ও জ্যোতিপূর্ণ কুরআনকেও তোমরা অস্বীকার করছো?