Je leest een tafsir voor de groep verzen 12:93tot 12:95
اِذْهَبُوْا
بِقَمِیْصِیْ
هٰذَا
فَاَلْقُوْهُ
عَلٰی
وَجْهِ
اَبِیْ
یَاْتِ
بَصِیْرًا ۚ
وَاْتُوْنِیْ
بِاَهْلِكُمْ
اَجْمَعِیْنَ
۟۠
وَلَمَّا
فَصَلَتِ
الْعِیْرُ
قَالَ
اَبُوْهُمْ
اِنِّیْ
لَاَجِدُ
رِیْحَ
یُوْسُفَ
لَوْلَاۤ
اَنْ
تُفَنِّدُوْنِ
۟
قَالُوْا
تَاللّٰهِ
اِنَّكَ
لَفِیْ
ضَلٰلِكَ
الْقَدِیْمِ
۟
3

৯৩-৯৫ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহর নবী হযরত ইয়াকুব (আঃ) হযরত ইউসুফের (আঃ) শোকে কেঁদে কেঁদে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, তাই হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর ভাইদেরকে বললেনঃ “আমার এই জামাটি নিয়ে আমাদের পিতার কাছে গমন করুন এবং এটা তার মুখের উপর রেখে দেবেন, ইনশা আল্লাহ তিনি তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাবেন। অতঃপর আপনারা তাঁকে এবং আপনাদের পরিবারের সকলকেই আমার নিকট নিয়ে আসবেন।” এদিকে এই যাত্রীদল মিসর থেকে যাত্রা শুরু করেছেন, আর ও দিকে আল্লাহ তাআ’লা হযরত ইয়াকুবের (আঃ) কাছে হযরত ইউসুফের (আঃ) সুগন্ধি পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। তখন তিনি তাঁর কাছে অবস্থিত সন্তানদের বললেনঃ “আমার কাছে তো আমার প্রিয় পুত্র ইউসুফের (আঃ) সুগন্ধ আসছে। কিন্তু তোমরা তো আমাকে জ্ঞান শূন্য অতি বৃদ্ধ বলে আমার কথার প্রতি কোনই গুরুত্ব দেবে না।” ঐ সময় যাত্রীদল কিনআন থেকে ৮ (আট) দিনের পথের দূরত্বে ছিল। সেখান থেকেই আল্লাহর হুকুমে বাতাস হযরত ইয়াকুবকে (আঃ) হযরত ইউসুফের (আঃ) জামাটির সুগন্ধি পৌঁছিয়ে দিয়েছিল। ঐ সময় হযরত ইউসুফের (আঃ) হারিয়ে যাওয়ার সময় কাল ৮০ (আশি) বছরে পৌঁছেছিল এবং যাত্রীদল তার নিকট থেকে ৮০ (আশি) ‘ফারসাখ’ দূরে ছিল। কিন্তু পিতার পার্শ্বে অবস্থানকারী ইউসুফের (আঃ) ভ্রাতাগণ পিতাকে বললো: “আপনি ইউসুফের (আঃ) প্রেমের কারণে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে রয়েছেন। সে কোন সময় আপনার মন হতে দূর হয় না এবং কোন সময় আপনি সান্ত্বনাও লাভ করতে পারছেন না।” হযরত ইয়াকুবের (আঃ) কাছে এই ভাষাটি বাস্তবিকই অত্যন্ত কঠোর ছিল। কোন যোগ্য সন্তানের পক্ষে এটা শোভনীয় নয় যে, নিজের পিতার নামে এরূপ ভাষা প্রয়োগ করে এবং উম্মতের জন্যেও এটা শোভা পায় না যে, তারা তাদের নবীকে (সঃ) এরূপ কথা বলে! সুদ্দী (রঃ) প্রভৃতি গুরুজন একথাই বলেছেন।