قَالَ
بَلْ
سَوَّلَتْ
لَكُمْ
اَنْفُسُكُمْ
اَمْرًا ؕ
فَصَبْرٌ
جَمِیْلٌ ؕ
عَسَی
اللّٰهُ
اَنْ
یَّاْتِیَنِیْ
بِهِمْ
جَمِیْعًا ؕ
اِنَّهٗ
هُوَ
الْعَلِیْمُ
الْحَكِیْمُ
۟
3

ইয়াকূব বলল, ‘বরং তোমাদের মন তোমাদের জন্য একটি কাহিনী সাজিয়ে নিয়েছে;[১] সুতরাং পূর্ণ ধৈর্যই শ্রেয়; হয়তো আল্লাহ ওদের সকলকেই আমার কাছে এনে দেবেন।[২] নিশ্চয় তিনিই সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।’

[১] ইয়াকূব (আঃ) যেহেতু বাস্তব ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং মহান আল্লাহ তাঁকে অহীর মাধ্যমে বাস্তব ঘটনা সম্পর্কে অবগতও করেননি, সেহেতু তিনি এটাই বুঝেছিলেন যে, আমার এই ছেলেরা যেমন এর পূর্বে ইউসুফ সম্পর্কে মনগড়া কথা বলেছিল, অনুরূপ এর সম্পর্কেও মনগড়া কথা বলছে। এরা বিনয়্যামীনের সাথে কি আচরণ করেছে? এর নিশ্চিত জ্ঞান ইয়াকূব (আঃ)-এর নিকট ছিল না বটে, কিন্তু ইউসুফ (আঃ)-এর ঘটনার উপর অনুমান করে তাঁদের সম্পর্কে তাঁর মনে সন্দেহের উদ্রেক হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।

[২] এমতাবস্থায় ধৈর্য ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। তবুও ধৈর্যের সাথে আশার বাসা ভেঙ্গে দেননি। جَمِيْعًا (সকলকেই) অর্থাৎ ইউসুফ (আঃ), বিনয়্যামীন এবং তাঁদের বড় ভাই, যিনি লজ্জার বশবর্তী হয়ে মিসরেই থেকে গিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, আব্বাজান হয় আমাকে এ অবস্থায় আসার অনুমতি দিন, আর না হয় আমি যে কোন প্রকারে বিনয়্যামীনকে সাথে নিয়ে ফিরব।