Stai leggendo un tafsir per il gruppo di versi 21:41 a 21:43
وَلَقَدِ
اسْتُهْزِئَ
بِرُسُلٍ
مِّنْ
قَبْلِكَ
فَحَاقَ
بِالَّذِیْنَ
سَخِرُوْا
مِنْهُمْ
مَّا
كَانُوْا
بِهٖ
یَسْتَهْزِءُوْنَ
۟۠
قُلْ
مَنْ
یَّكْلَؤُكُمْ
بِالَّیْلِ
وَالنَّهَارِ
مِنَ
الرَّحْمٰنِ ؕ
بَلْ
هُمْ
عَنْ
ذِكْرِ
رَبِّهِمْ
مُّعْرِضُوْنَ
۟
اَمْ
لَهُمْ
اٰلِهَةٌ
تَمْنَعُهُمْ
مِّنْ
دُوْنِنَا ؕ
لَا
یَسْتَطِیْعُوْنَ
نَصْرَ
اَنْفُسِهِمْ
وَلَا
هُمْ
مِّنَّا
یُصْحَبُوْنَ
۟
3

৪১-৪৩ নং আয়াতের তাফসীর: মুশরিকরা যে আল্লাহর রাসূলকে (সঃ) ঠাট্টা বিদ্রুপ করে ও মিথ্যা প্রতিপাদন করে কষ্ট দেয় সেজন্যে তিনি তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেনঃ হে নবী (সঃ) মুশরিকরা যে তোমাকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে এবং মিথ্যা প্রতিপন্ন করছে সে কারণে তুমি উদ্বিগ্ন ও মনঃক্ষুন্ন হয়ো না। কাফিরদের এটা পুরাতন অভ্যাস। পূর্ববর্তী নবীদের (আঃ) সাথেও তারা এরূপ ব্যবহারই করেছে। ফলে, অবশেষে তারা আল্লাহর শাস্তির কবলে পতিত হয়। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “তোমার পূর্ববর্তী রাসূলদের মিথ্যা প্রতিপাদন করা হয়েছিল, অতঃপর তারা ওর উপর ধৈর্য ধারণ করেছিল, আর তাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়েছিল, শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছিল; আল্লাহর কথার কেউ পরিবর্তনকারী নেই। আর তোমার কাছে রাসূলদের খবর এসে গেছে।” (৬:৩৪)এরপর মহান আল্লাহ স্বীয় নিয়ামত ও অনুগ্রহের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ তিনিই তোমাদের সবারই হিফাযত ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে রয়েছেন। তিনি কখনও ক্লান্ত হন না এবং কখনও নিদ্রা যান না। এখানে দ্বারা (আরবী) অর্থ নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ রহমানের পরিবর্তে বা রহমান ছাড়া দিন-রাত তোমাদেরকে কে রক্ষণাবেক্ষণ করছে? অর্থাৎ তিনিই করছেন। যেমন কোন কবি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “দাসী ‘মিরফাক পরিধান করে নাই এবং সজীর পরিবর্তে পেস্তার স্বাদ গ্রহণ করে নাই।” এখানেও (আরবী) দ্বারা (আরবী) বুঝানো হয়েছে।মুশরিক ও কাফিররা শুধু যে, আল্লাহর একটা নিয়ামত ও অনুগ্রহকে অস্বীকার করছে তা নয়; বরং তারা তার সমস্ত নিয়ামতকেই অস্বীকার করে থাকে।এরপর তাদেরকে ধমকের সুরে বলা হচ্ছেঃ তবে কি আল্লাহ ব্যতীত তাদের এমন দেব-দেবীও আছে যারা তাদেরকে রক্ষা করতে পারে? অর্থাৎ তারা এরূপ করার ক্ষমতা রেখে না। তাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এমনকি তাদের এই বাজে মা’বৃদরা নিজেদেরকেই তো সাহায্য করতে পারে না এবং তারা আল্লাহ থেকে বাচতেও পারে না। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে কোন খবর তাদের কাছে নেই। এ বাক্যের একটি অর্থ এটাও যে, তারা কাউকেও বাচাতেও পারে না এবং নিজেরাও বাঁচতে পারে না।