وَقَالُوْا
لِجُلُوْدِهِمْ
لِمَ
شَهِدْتُّمْ
عَلَیْنَا ؕ
قَالُوْۤا
اَنْطَقَنَا
اللّٰهُ
الَّذِیْۤ
اَنْطَقَ
كُلَّ
شَیْءٍ
وَّهُوَ
خَلَقَكُمْ
اَوَّلَ
مَرَّةٍ
وَّاِلَیْهِ
تُرْجَعُوْنَ
۟
3

জাহান্নামীরা ওদের চামড়াকে জিজ্ঞাসা করবে, ‘তোমরা আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে কেন?’[১] উত্তরে চামড়া বলবে, ‘আল্লাহ যিনি সমস্ত কিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন, তিনি আমাদেরও বাকশক্তি দিয়েছেন।’ তিনি তোমাদেরকে প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [২]

[১] অর্থাৎ, মুশরিক ও কাফেররা যখন দেখবে যে, তাদেরই অঙ্গগুলো তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছে, তখন বিস্মিত অথবা ক্ষুব্ধ হয়ে ধমকের স্বরে এ কথা বলবে।[২] কেউ কেউ وَهُوَ (তিনি তোমাদেরকে) থেকে আল্লাহর উক্তি বলেছেন। এই দিক দিয়ে এটা হবে 'জুমলাহ মুস্তা'নিফাহ' (বিচ্ছিন্ন নতুন বাক্য)। আবার কেউ কেউ বলেছেন, এটা মানুষের চামড়ারই কথা। এই দিক দিয়ে এটা হবে সেই কথার অবশিষ্ট অংশ। কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ইতিপূর্বে সূরা নূরের ২৪:২৪ নং আয়াতে এবং সূরা ইয়াসীনের ৩৬:৬৫ নং আয়াতেও উল্লিখিত হয়েছে। অনুরূপ সহীহ হাদীসসমূহে এ কথা বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন, যখন আল্লাহর নির্দেশে মানুষের অঙ্গগুলো বাক্যালাপে সব কিছু বলে দেবে, তখন বান্দা বলবে, بُعْدًا لَّكُنَّ وَسُحْقًا، فَعَنْكُنَّ كُنْتُ أُنَاضِلُ "তোমরা ধ্বংস হও, দূর হও। আমি তোমাদের জন্যই ঝগড়া ও দোষখন্ডন করছিলাম।" (মুসলিমঃ কিতাবুয্ যুহদ) এই বর্ণনাতেই এসেছে যে, বান্দা বলবে, 'আমি আমার নিজের দেহ ব্যতীত অন্য কারো সাক্ষ্য মানব না।' তখন মহান আল্লাহ বলবেন, 'আমি এবং আমার সম্মানিত লেখক ফিরিশতাগণ কি সাক্ষীর জন্য যথেষ্ট নই?' অতঃপর তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের অঙ্গগুলোকে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হবে। (ঐ)