قُلْ
اِنِّیْ
عَلٰی
بَیِّنَةٍ
مِّنْ
رَّبِّیْ
وَكَذَّبْتُمْ
بِهٖ ؕ
مَا
عِنْدِیْ
مَا
تَسْتَعْجِلُوْنَ
بِهٖ ؕ
اِنِ
الْحُكْمُ
اِلَّا
لِلّٰهِ ؕ
یَقُصُّ
الْحَقَّ
وَهُوَ
خَیْرُ
الْفٰصِلِیْنَ
۟
۳

বল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের স্পষ্ট প্রমাণের উপর প্রতিষ্ঠিত[১] অথচ তোমরা ঐটিকে মিথ্যাজ্ঞান করেছ। তোমরা যা সত্বর চাচ্ছ, তা আমার নিকট নেই। কর্তৃত্ব তো আল্লাহরই;[২] তিনি সত্য বিবৃত করেন[৩] এবং তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ফায়সালাকারী।’

[১] উদ্দেশ্য সেই শরীয়ত যা অহীর মাধ্যমে তাঁর (নবী করীম (সাঃ)-এর) উপর অবতীর্ণ করা হয়েছে। যাতে তাওহীদকেই মূল ও প্রথম স্থান দান করা হয়েছে।

[২] সারা বিশ্বজাহানে আল্লাহরই নির্দেশ চলে এবং সমস্ত ব্যাপার তাঁরই হাতে। এই জন্য তোমরা যে চাও, সত্বর আল্লাহর আযাব তোমাদের উপর আসুক, যাতে তোমরা আমার সত্য অথবা মিথ্যা হওয়ার ব্যাপারটা জানতে পার, তো এটাও আল্লাহর এখতিয়ারাধীন। তিনি চাইলে সত্বর শাস্তি প্রেরণ করে তোমাদেরকে সতর্ক কিংবা ধ্বংস করে দেবেন এবং তিনি চাইলে সেই পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন, যে পর্যন্ত অবকাশ দেওয়া তাঁর হিকমতের দাবী হবে।

[৩] يَقُصُّ এর উৎপত্তি হল قَصَصٌ থেকে। অর্থাৎ, يَقُصُّ قَصَصَ الْحَقِّ (সত্য কথা বর্ণনা করেন অথবা বলেন)। কিংবা قَصَّ أَثَرَهُ (কারো পিছনে অনুসরণ করা) থেকে। অর্থাৎ, يَتَّبِعُ الْحَقَّ فِيْمَا يَحْكُمُ بِهِ (নিজের ফায়সালার ব্যাপারে তিনি সত্যের অনুসরণ করেন। অর্থাৎ, সত্য ফায়সালা করেন)। (ফাতহুল ক্বাদীর)