وَقَالَ
فِرْعَوْنُ
ذَرُوْنِیْۤ
اَقْتُلْ
مُوْسٰی
وَلْیَدْعُ
رَبَّهٗ ۚ
اِنِّیْۤ
اَخَافُ
اَنْ
یُّبَدِّلَ
دِیْنَكُمْ
اَوْ
اَنْ
یُّظْهِرَ
فِی
الْاَرْضِ
الْفَسَادَ
۟
۳

ফিরআউন বলল, আমাকে ছাড়ো, আমি মূসাকে হত্যা করি[১] এবং সে তার প্রতিপালকের শরণাপন্ন হোক।[২] আমি আশংকা করি যে, সে তোমাদের ধর্মের পরিবর্তন সাধন করবে অথবা সে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। [৩]

[১] এ কথা সম্ভবতঃ ফিরআউন তাদেরকে বলেছিল, যারা মূসা (আঃ)-কে হত্যা করতে নিষেধ করেছিল।

[২] এটা ছিল ফিরআউনের বড়ই ধৃষ্টতার প্রকাশ যে, আমি দেখব, তাঁর প্রভু তাঁকে কিভাবে বাঁচায়। তাঁকে আহবান করেই দেখে নিক। অথবা প্রতিপালককেই অস্বীকার করে বলল যে, তার আবার প্রভু কে আছে, যে তাকে বাঁচাবে। যেহেতু ফিরআউন তো নিজেকেই মহান প্রভু ভাবত।

[৩] অর্থাৎ, গায়রুল্লাহর ইবাদত হতে সরিয়ে এনে আল্লাহর ইবাদতে লাগিয়ে দেবে। অথবা তাঁর কারণে ফাসাদ সৃষ্টি হয়ে যাবে। তার উদ্দেশ্য ছিল, তার দাওয়াত যদি আমার জাতির কিছু লোক গ্রহণ করে নেয়, তাহলে সে তাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক করবে, যারা তা গ্রহণ করবে না। আর এতে তাদের আপোসে ঝগড়া সৃষ্টি হবে এবং তা ফাসাদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এইভাবে ফেরাঊন তাওহীদের দাওয়াতকে ফাসাদ ও বিপর্যয় এবং তাওহীদবাদীদেরকে ফাসাদী ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী গণ্য করল। অথচ প্রকৃতপ্রস্তাবে সে নিজেই ছিল ফাসাদী এবং গায়রুল্লাহর ইবাদতই হল বিপর্যয় ও ফাসাদের মূল উৎস।