وَاَصْبَحَ
الَّذِیْنَ
تَمَنَّوْا
مَكَانَهٗ
بِالْاَمْسِ
یَقُوْلُوْنَ
وَیْكَاَنَّ
اللّٰهَ
یَبْسُطُ
الرِّزْقَ
لِمَنْ
یَّشَآءُ
مِنْ
عِبَادِهٖ
وَیَقْدِرُ ۚ
لَوْلَاۤ
اَنْ
مَّنَّ
اللّٰهُ
عَلَیْنَا
لَخَسَفَ
بِنَا ؕ
وَیْكَاَنَّهٗ
لَا
یُفْلِحُ
الْكٰفِرُوْنَ
۟۠
۳

পূর্বদিন যারা তার (মত) মর্যাদা কামনা করেছিল তারা বলতে লাগল,[১] ‘দেখ, আল্লাহ তাঁর দাসদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা তার রুযী বর্ধিত করেন এবং যার জন্য ইচ্ছা তা হ্রাস করেন। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করতেন, তবে আমাদেরকেও তিনি মাটিতে ধসিয়ে দিতেন।[২] দেখ, অকৃতজ্ঞরা সফলকাম হয় না।’ [৩]

[১] مَكَان বলতে পার্থিব সম্মান ও মান-মর্যাদা, যা কোন ব্যক্তিকে পৃথিবীতে সাময়িকভাবে দেওয়া হয়ে থাকে; যেমন কারূনকে দেওয়া হয়েছিল। أَمْس গতকালকে বলা হয়। কিন্তু এখানে নিকটবর্তী সময় বুঝানো হয়েছে। وَيكَأَنَّ আসলে وَيلَكَ اعلَمُ أَنَّ ছিল। অর্থাৎ, আফসোস বা আশ্চর্য! তোমার জানা উচিত ছিল। কেউ কেউ বলেন, এটি أَلَم تَرَ এর অর্থে ব্যবহার হয়েছে। (ইবনে কাসীর) এর পূরো অর্থ হল কারূনের মত ধন-সম্পদ ও মান-মর্যাদার অভিলাষী ব্যক্তিরা যখন কারূনের শিক্ষণীয় করুণ পরিণতি দেখল, তখন তারা বলল, ধন-দৌলত এই কথার প্রমাণ নয় যে, ধনবান ব্যক্তির উপর আল্লাহ সন্তুষ্ট। তুমি কি দেখ না যে, আল্লাহ কাউকে মাল বেশি দেন, আবার কাউকেও কম। এর সম্পর্ক সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর ইচ্ছার ও হিকমতের সাথে যা একমাত্র তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না। মালের আধিক্য তাঁর সন্তুষ্টির ও মাল না থাকা তাঁর অসন্তুষ্টির প্রমাণ বহন করে না। যেমন এসব মান-ইজ্জতের মাপকাঠিও নয়।

[২] অর্থাৎ, আমাদের পরিণাম ঐরূপ হত, যেরূপ কারূনের হয়েছিল।

[৩] অর্থাৎ, কারূন সম্পদ পেয়ে আল্লাহর কৃতজ্ঞ না হয়ে অকৃতজ্ঞতা ও পাপের পথ অবলম্বন করল। সুতরাং দেখ তার পরিণাম কি হল?