قَالَ
الَّذِیْنَ
حَقَّ
عَلَیْهِمُ
الْقَوْلُ
رَبَّنَا
هٰۤؤُلَآءِ
الَّذِیْنَ
اَغْوَیْنَا ۚ
اَغْوَیْنٰهُمْ
كَمَا
غَوَیْنَا ۚ
تَبَرَّاْنَاۤ
اِلَیْكَ ؗ
مَا
كَانُوْۤا
اِیَّانَا
یَعْبُدُوْنَ
۟

যাদের জন্য শাস্তি অবধারিত হয়েছে তারা বলবে,[১] ‘হে আমাদের প্রতিপালক! যাদেরকে আমরা পথভ্রান্ত করেছিলাম --এরা তারা।[২] এদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম যেমন আমরা বিভ্রান্ত হয়েছিলাম।[৩] এদের জন্য আমরা দায়ী নই।[৪] এরা আমাদের পূজা করত না।’ [৫]

[১] অর্থাৎ, যারা আল্লাহর আযাবের যোগ্য বিবেচিত হবে যেমন, বড় বড় অবাধ্য শয়তান এবং কুফরী ও শিরকের দিকে আহবানকারী নেতা প্রভৃতিরা বলবে।[২] এখানে ঐ সকল মূর্খ জনসাধারণের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যাদেরকে শয়তান এবং কুফরী ও শিরকের দিকে আহবানকারী নেতারা পথভ্রষ্ট করেছিল।[৩] অর্থাৎ, আমরা তো পথভ্রষ্ট ছিলামই; কিন্তু তাদেরকেও নিজেদের সঙ্গে পথভ্রষ্ট করেছিলাম। উদ্দেশ্য এই যে, আমরা তাদের প্রতি কোন প্রকার জোর-জবরদস্তি বা বল প্রয়োগ করিনি; বরং আমাদের সামান্যতম ইশারাতেই তারা আমাদের মতই ভ্রষ্ট পথ অবলম্বন করেছিল।[৪] আমরা তাদের সাথে সম্পর্কহীন ও তাদের থেকে পৃথক। তাদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। মোটকথা, দুনিয়ায় অনুসারী ও অনুসৃত বা গুরু-শিষ্য কিয়ামতে এক অপরের শত্রু হয়ে যাবে।[৫] বরং বাস্তবে তারা নিজেদের প্রবৃত্তির পূজা ও দাসত্ব করত। অর্থাৎ, আজ পৃথিবীতে যাদের ইবাদত, দাসত্ব ও পূজা হচ্ছে তারা সকলে নিজেদের ইবাদত, দাসত্ব ও পূজার কথা অস্বীকার করবে। এই বিষয়টি কুরআনে বিভিন্ন জায়গায় বর্ণিত হয়েছে। যেমনঃ সূরা বাক্বারাহ ২:১৬৬-১৬৭, সূরা আনআম ৬:৪৯, সূরা মারয়্যাম ১৯:৮১-৮২, সূরা আহক্বাফ ৪৬:৫-৬, সূরা আনকাবূত ২৯:২৫ নং আয়াত দ্রষ্টব্য।