21:92 21:94 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
اِنَّ
هٰذِهٖۤ
اُمَّتُكُمْ
اُمَّةً
وَّاحِدَةً ۖؗ
وَّاَنَا
رَبُّكُمْ
فَاعْبُدُوْنِ
۟
وَتَقَطَّعُوْۤا
اَمْرَهُمْ
بَیْنَهُمْ ؕ
كُلٌّ
اِلَیْنَا
رٰجِعُوْنَ
۟۠
فَمَنْ
یَّعْمَلْ
مِنَ
الصّٰلِحٰتِ
وَهُوَ
مُؤْمِنٌ
فَلَا
كُفْرَانَ
لِسَعْیِهٖ ۚ
وَاِنَّا
لَهٗ
كٰتِبُوْنَ
۟

৯২-৯৪ নং আয়াতের তাফসীর: হযরত ইবনু আব্বাস (রাঃ), হযরত মুজাহিদ (রাঃ), হযরত সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ), কাতাদা (রঃ) এবং হযরত আবদুর রহমান ইবনু যায়েদ ইবনু আসলাম (রাঃ) বলেন যে, (আরবী) এর অর্থ হচ্ছে। তোমাদের দ্বীন হলো একই দ্বীন। হযরত হাসান বসরী (রঃ) বলেন যে, এই আয়াতে যা হতে বিরত থাকতে হবে এবং যা করতে হবে তাই বর্ণনা করা হয়েছে। (আরবী) শব্দটি (আরবী) শব্দের (আরবী) এবং (আরবী) ওর। আর (আরবী) শব্দ দুটি (আরবী) হয়েছে। অর্থাৎ যে শরীয়তের বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা তোমাদের সবারই শরীয়ত, যার মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর একত্ববাদ। যেমন অন্য আয়াতে রয়েছেঃ (আরবী) (হে রাসুলগণ! তোমরা উৎকৃষ্ট জিনিস ভক্ষণ কর) (আমি তোমাদের প্রতিপালক, সুতরাং তোমরা আমাকে ভয় কর) ... পর্যন্ত। (২৩:৫১-৫২)রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমরা নবীদের দল পরস্পর বৈমাত্রেয় ভাই (আমাদের সবারই পিতা একই), আমাদের সবারই একই দ্বীন)” তা হলো। এক শরীক বিহীন আল্লাহর ইবাদত করা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “প্রত্যেকের জন্যে আমি পথ ও পন্থা করে দিয়েছি।" (৫:৪৮) অতঃপর লোকেরা মতানৈক্য সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ তাদের বীদের (আঃ) উপর ঈমান এনেছে এবং কেউ কেউ ঈমান আনয়ন করে নাই।মহান আল্লাহ বলেনঃ কিয়ামতের দিন সকলকেই আমারই নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। প্রত্যেককেই নিজ নিজ কতকর্মের প্রতিদান দেয়াহবে। ভাল লোকদেরকে দেয়া হবে ভাল প্রতিদান। মন্দ লোকদেরকে দেয়া হবে মন্দ প্রতিদান।সুতরাং কেউ যদি মু'মিন হয়ে সৎকর্ম করে তবে তার কর্ম প্রচেষ্টা অগ্রাহ্য হবে না এবং আল্লাহ তাআলা তা লিখে রাখেন। যেমন অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “সকর্মশীলদের বিনিময় আমি নষ্ট করি না।” (১৮:৩০) আল্লাহ তাআ'লা অনুপরিমাণ যুলুম করাও সমীচীন মনে করেন না। তিনি স্বীয় বান্দাদের সমস্ত আমল লিখে রাখেন। একটিও ছুটে যায় না।