12:78 12:79 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
قَالُوْا
یٰۤاَیُّهَا
الْعَزِیْزُ
اِنَّ
لَهٗۤ
اَبًا
شَیْخًا
كَبِیْرًا
فَخُذْ
اَحَدَنَا
مَكَانَهٗ ۚ
اِنَّا
نَرٰىكَ
مِنَ
الْمُحْسِنِیْنَ
۟
قَالَ
مَعَاذَ
اللّٰهِ
اَنْ
نَّاْخُذَ
اِلَّا
مَنْ
وَّجَدْنَا
مَتَاعَنَا
عِنْدَهٗۤ ۙ
اِنَّاۤ
اِذًا
لَّظٰلِمُوْنَ
۟۠

৭৮-৭৯ নং আয়াতের তাফসীর যখন বিনইয়ামীনের মালপত্র হতে শাহী পানপাত্র বের হলো তখন ভাইদের ফায়সালা অনুসারে তাঁকে শাহী বন্দীরূপে গণ্য করা হলো। তারা মিসরের আযীযকে (হযরত ইউসুফকে (আঃ)) সুপারিশ করে এবং করুণা আকর্ষণ করে বললেনঃ “দেখুন! আমার এ ভাইটি আমাদের পিতার অত্যন্ত প্রিয়পাত্র। তিনি এখন অত্যন্ত দুর্বল ও বৃদ্ধ হয়ে পড়েছেন। এর এক সহোদর ভাই ইতিপূর্বে হারিয়ে গেছে, যার কারণে তিনি পূর্ব হতেই শোকার্ত রয়েছেন। এখন এই খবর শুনলেই আমরা আশঙ্কা করছি যে, তিনি শোকে দুঃখে অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়বেন। এমনকি তিনি প্রাণেই বাঁচেন কিনা সন্দেহ আছে। সুতরাং মেহেরবাণী করে আমাদের একজনকে তার স্থলে রেখে দিন এবং তাকে ছেড়ে দিন। আপনি একজন মহানুভব ব্যক্তি। কাজেই দয়া করে আমাদের এই আবেদন মঞ্জুর করুন।” হযরত ইউসুফ (আঃ) উত্তরে বললেনঃ “কি করে আমার দ্বারা এটা সম্ভব হতে পারে? এটা তো বড়ই অন্যায় ও অত্যাচারমূলক কাজ যে, পাপ করবে একজন আর ধরা হবে অন্যকে! চুরি করবে একজন, আর বন্দী হবে অন্যজন। চোরকেই বন্দী করা হবে, বাদশাহকে নয়। নিস্পাপ ব্যক্তিকে শাস্তি দেয়া এবং পাপীকে ছেড়ে দেয়া প্রকাশ্যভাবে অবিচার ও অন্যায়।