قَالُوْۤا
اِنْ
یَّسْرِقْ
فَقَدْ
سَرَقَ
اَخٌ
لَّهٗ
مِنْ
قَبْلُ ۚ
فَاَسَرَّهَا
یُوْسُفُ
فِیْ
نَفْسِهٖ
وَلَمْ
یُبْدِهَا
لَهُمْ ۚ
قَالَ
اَنْتُمْ
شَرٌّ
مَّكَانًا ۚ
وَاللّٰهُ
اَعْلَمُ
بِمَا
تَصِفُوْنَ
۟

বিনইয়ামীনের বস্তার মধ্য হতে পানপাত্র বের হতে দেখে তাঁরা বললেনঃ “দেখুন! এ চুরি করেছে, যেমন ইতিপূর্বে চুরি করেছিল এর সহোদর ভাই ইউসুফ (আঃ)।” ঘটনা এই যে, একবার হযরত ইউসুফ (আঃ) তাঁর নানার প্রতিমা গোপনে উঠিয়ে নিয়েছিলেন এবং ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। (এটা সাঈদ ইবনু জুবাইর (রঃ) কাতাদা’ (রঃ) হতে বর্ণনা করেছেন)এটাও বর্ণিত আছে যে, হযরত ইয়াকুবের (আঃ) একজন বড় বোন ছিলেন। তাঁর কাছে তাঁর পিতা হযরত ইসহাকের (আঃ) একটি কোমর বন্ধনী ছিল। ওটা বংশের বড় মানুষের কাছে থাকতো। হযরত ইউসুফ (আঃ) জন্মগ্রহণের পরেই তাঁর ঐ ফুফুর কাছে লালিত পালিত হন। তাঁর ফুফু তাঁকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তিনি কিছুটা বড় হলে তাঁর পিতা হযরত ইয়াকুব (আঃ) তাঁর ফুফুর নিকট থেকে তাঁকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু তাঁর ফুফু তাঁর বিচ্ছেদ সহ্য করতে পারবেন না বলে তাঁর পিতার প্রস্তাবে অসম্মতি প্রকাশ করেন। এদিকে তাঁর পিতার তাঁর প্রতি মহব্বতেরও কোন সীমা ছিল না। শেষে বোন তাঁকে বললেনঃ “আচ্ছা ইউসুফ (আঃ) আমার কাছে আরো কিছু দিন থাকুক।” এই সময়ের মধ্যে তাঁর ফুফু তাঁর কোমর বন্ধনীটি গোপনে তার কাপড়ের মধ্যে রেখে দেন। তারপর তল্লাশী হতে শুরু হয়। ঘরের সমস্ত জায়গা খোঁজ করে পাওয়া গেল না। অবশেষে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো যে, ঘরে যারা রয়েছে তাদের সবারই উপর তল্লাশী চালানো হোক। সবারই কাছে খোঁজ করার পরেও তা পাওয়া গেল না। সর্বশেষে হযরত ইউসুফের (আঃ) উপর তল্লাশী চালানো হলো। তার কাছে সেটা পাওয়া গেল। হযরত ইয়াকুবকে (আঃ) এ সংবাদ দেয়া হলে তিনি শরীয়তে ইবরাহীমীর আইন অনুসারে হযরত ইউসুফ (আঃ) কে তাঁর ফুফুর কাছেই সমর্পণ করলেন। এ ভাবে তাঁর ফুফু তাঁর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি হযরত ইউসুফকে (আঃ) ছাড়েন নাই। (এটা মুহাম্মদ ইবনু ইসহাক (রঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আবি নাজীহ (রঃ) হতে এবং তিনি মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণনা করেন)হযরত ইউসুফের (আঃ) বৈমাত্রেয় ভাইয়েরা ওটারই আজ অপবাদ দিলেন, যার উত্তরে হযরত ইউসুফ (আঃ) মনে মনে বললেনঃ “তোমাদের অবস্থা তো হীনতর। বিনইয়ামীনের সহোদর ভাই ইউসুফের (আঃ) চুরির অবস্থা আল্লাহ তাআ’লাই খুব ভালরূপে অবগত আছে।”