12:67 12:68 আয়াতের গ্রুপের জন্য একটি তাফসির পড়ছেন
وَقَالَ
یٰبَنِیَّ
لَا
تَدْخُلُوْا
مِنْ
بَابٍ
وَّاحِدٍ
وَّادْخُلُوْا
مِنْ
اَبْوَابٍ
مُّتَفَرِّقَةٍ ؕ
وَمَاۤ
اُغْنِیْ
عَنْكُمْ
مِّنَ
اللّٰهِ
مِنْ
شَیْءٍ ؕ
اِنِ
الْحُكْمُ
اِلَّا
لِلّٰهِ ؕ
عَلَیْهِ
تَوَكَّلْتُ ۚ
وَعَلَیْهِ
فَلْیَتَوَكَّلِ
الْمُتَوَكِّلُوْنَ
۟
وَلَمَّا
دَخَلُوْا
مِنْ
حَیْثُ
اَمَرَهُمْ
اَبُوْهُمْ ؕ
مَا
كَانَ
یُغْنِیْ
عَنْهُمْ
مِّنَ
اللّٰهِ
مِنْ
شَیْءٍ
اِلَّا
حَاجَةً
فِیْ
نَفْسِ
یَعْقُوْبَ
قَضٰىهَا ؕ
وَاِنَّهٗ
لَذُوْ
عِلْمٍ
لِّمَا
عَلَّمْنٰهُ
وَلٰكِنَّ
اَكْثَرَ
النَّاسِ
لَا
یَعْلَمُوْنَ
۟۠

৬৭-৬৮ নং আয়াতের তাফসীর হযরত ইউসুফের (আঃ) ভ্রাতাগণ যে সময় তাঁদের ভাই বিনইয়ামীনসহ মিসরের পথে যাত্রা শুরু করেন আল্লাহ তাআ’লা তারই খবর দিচ্ছেন। হযরত ইয়াকুবের (আঃ) মনে এই আশঙ্কা ছিল যে, তাঁর ছেলেদের উপর মানুষের কুদৃষ্টি নিক্ষিপ্ত হতে পারে। কেননা, তারা সবাই ছিলেন সুশ্রী ও সুঠাম দেহের অধিকারী। এই কারণেই তাদের মিসরের পথে রওয়ানা হবার সময় তাদেরকে উপদেশ দেনঃ “হে আমার প্রিয় বৎসগণ! তোমরা সবাই একই দরজা দিয়ে শহরে প্রবেশ করবে না। বরং ভিন্ন ভিন্ন দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। কেননা মানুষের কুদৃষ্টি লেগে যাওয়া সত্য। এটা ঘোড় সওয়ারকে ঘোড়র উপর থেকে ফেলে দেয়।” এর সাথে সাথেই তিনি বলেনঃ “আমি জানি এবং আমার এ বিশ্বাস আছে যে, আমার এই তদবীর তকদীরের কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারে না। আল্লাহ তাআ’লার ফায়সালাকে কোন লোকই কোন তদবীর দ্বারা বদলাতে পারে না। তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ হয়েই থাকে। একমাত্র তাঁরই হুকুম কার্যকরী হয়। কে এমন আছে যে তার ইচ্ছাকে তিল পরিমাণ বদলাতে পারে? কে আছে যে তার ফরমানকে মুলতবী রাখতে পারে? তার ফায়সালাকে ফেরাতে পারে এমন কে আছে? তাঁরই উপর আমার ভরসা। শুধু আমার উপরই সীমাবদ্ধ নয়, বরং প্রত্যেকেরই তাঁরই উপর ভরসা করা উচিত।”সুতরাং হযরত ইয়াকুবের (আঃ) পুত্রগণ তাঁদের পিতার উপদেশ মান্য করল এবং বিভিন্ন দরজা দিয়ে শহরে প্রবেশ করল। এভাবে আল্লাহ তাআ’লার ফায়সালাকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা তাদের ছিল না। হ্যাঁ, তবে হযরত ইয়াকুব (আঃ) একটি প্রকাশ্য তদবীর পূর্ণ করলেন, যেন তাঁর সন্তানরা কু-নযর থেকে বাঁচতে পারেন। তিনি জ্ঞানী ছিলেন। তাঁর আল্লাহ প্রদত্ত বিদ্যা ছিল কিন্তু অধিকাংশ লোকই এটা অবগত নয়।