وَاَنْذِرْ
بِهِ
الَّذِیْنَ
یَخَافُوْنَ
اَنْ
یُّحْشَرُوْۤا
اِلٰی
رَبِّهِمْ
لَیْسَ
لَهُمْ
مِّنْ
دُوْنِهٖ
وَلِیٌّ
وَّلَا
شَفِیْعٌ
لَّعَلَّهُمْ
یَتَّقُوْنَ
۟
٣

যারা ভয় করে যে, তাদের প্রতিপালকের নিকট তাদেরকে এমন অবস্থায় সমবেত করা হবে যে, তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক বা সুপারিশকারী থাকবে না, তুমি তাদেরকে এ (কুরআন) দ্বারা সতর্ক কর; হয়তো তারা সাবধান হবে। [১]

[১] অর্থাৎ, এই ধরনের লোকদেরকেই ভয় দেখানোতে লাভ আছে। নচেৎ যারা পুনরুত্থান এবং হাশরের মাঠে একত্রিত হওয়া ইত্যাদির উপর বিশ্বাসই রাখে না, তারা তো তাদের কুফরী ও অমান্য করার নীতির উপরেই কায়েম থাকে। এ ছাড়াও এতে সেই কিতাবধারী, কাফের এবং মুশরিকদের খন্ডনও করা হয়েছে, যারা তাদের পূর্বপুরুষ এবং প্রতিমাদেরকে নিজেদের সুপারিশকারী মনে করত। অনুরূপ 'অভিভাবক ও সুপারিশকারী থাকবে না' কথার অর্থ হল, তাদের জন্য, যারা জাহান্নামের আযাবের যোগ্য বিবেচিত হয়ে গেছে। কেননা, মু'মিনদের জন্য তো আল্লাহর নেক বান্দারা আল্লাহর নির্দেশে সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ, সুপারিশের অস্বীকৃতি কাফের ও মুশরিকদের জন্য এবং তার সবীকৃতি তাদের জন্য, যারা তাওহীদবাদী মু'মিন বান্দা হবে। এইভাবে উভয় প্রকারের আয়াতের মধ্যে কোন বিরোধ থাকবে না।