قُلْ
لَّاۤ
اَقُوْلُ
لَكُمْ
عِنْدِیْ
خَزَآىِٕنُ
اللّٰهِ
وَلَاۤ
اَعْلَمُ
الْغَیْبَ
وَلَاۤ
اَقُوْلُ
لَكُمْ
اِنِّیْ
مَلَكٌ ۚ
اِنْ
اَتَّبِعُ
اِلَّا
مَا
یُوْحٰۤی
اِلَیَّ ؕ
قُلْ
هَلْ
یَسْتَوِی
الْاَعْمٰی
وَالْبَصِیْرُ ؕ
اَفَلَا
تَتَفَكَّرُوْنَ
۟۠
٣

বল, ‘আমি তোমাদেরকে এ বলি না যে, আমার নিকট আল্লাহর ধনভান্ডার আছে, অদৃশ্য সম্বন্ধেও আমি অবগত নই এবং তোমাদেরকে এ কথাও বলি না যে, আমি ফিরিশতা। আমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ হয় আমি শুধু তারই অনুসরণ করি!’[১] বল, ‘অন্ধ ও চক্ষুষমান কি সমান?[২] তোমরা কি অনুধাবন কর না?’

[১] আমার কাছে আল্লাহ প্রদত্ত কোন এমন ধন-ভান্ডার নেই (যার অর্থ, সব রকমের শক্তি-সামর্থ্য) যে, আমি আল্লাহর ইচ্ছা ও অনুমতি ছাড়াই তোমাদেরকে এমন বড় মু'জিযা দেখাতে পারব, যেমন তোমরা চাও এবং যা দেখে তোমাদের মধ্যে আমার সত্যতার প্রতি বিশ্বাস জন্মাবে। আমার কাছে অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞানও নেই যে, আমি তোমাদেরকে আগত অবস্থাদি সম্পর্কে অবহিত করে দেব। আমি ফিরিশতা হওয়ার দাবীও করি না যে, তোমরা আমাকে এই ধরনের অস্বাভাবিক জিনিস সংঘটন করতে বাধ্য করবে, যা মানবীয় শক্তির অনেক ঊর্ধ্বে। আমি তো কেবল সেই অহীর অনুসরণ করি, যা আমার উপর অবতীর্ণ হয়। আর এ কথায় হাদীসও শামিল আছে। যেমন, নবী (সাঃ) বলেছেন, أُوْتِيْتُ الْقُرْءَان وَمِثْلَهُ مَعَهُ)) "আমাকে কুরআনের সাথে তার মত (আরো একটি জিনিস) দেওয়া হয়েছে। আর এই 'তার মত' হল রসূল (সাঃ)-এর হাদীস।

[২] এই জিজ্ঞাসা অস্বীকৃতিসূচক। অর্থাৎ, অন্ধ ও চক্ষুষমান, ভ্রষ্ট ও হিদায়াতপ্রাপ্ত এবং মু'মিন ও কাফের উভয়ে সমান হতে পারে না।