حَتّٰۤی
اِذَا
مَا
جَآءُوْهَا
شَهِدَ
عَلَیْهِمْ
سَمْعُهُمْ
وَاَبْصَارُهُمْ
وَجُلُوْدُهُمْ
بِمَا
كَانُوْا
یَعْمَلُوْنَ
۟
٣

পরিশেষে যখন ওরা জাহান্নামের সন্নিকটে পৌঁছবে, তখন ওদের কান, চোখ ও দেহের চামড়া ওদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেবে। [১]

[১] অর্থাৎ, যখন তারা শিরক করার কথা অস্বীকার করবে, তখন আল্লাহ তাদের মুখে মোহর লাগিয়ে দেবেন এবং তাদের (দেহের) অঙ্গগুলো সাক্ষ্য দেবে যে, তারা এই কাজ করত। إِذَا مَا جَاءُوهَا তে ما অতিরিক্ত (যার কোন অর্থ হবে না) তাকীদ স্বরূপ এসেছে। মানুষের রয়েছে পাঁচটি ইন্দ্রিয়। এখানে দু'টি উল্লেখ করা হয়েছে। তৃতীয়টি হল ত্বক বা চামড়া যা স্পর্শের যন্ত্র। এইভাবে ইন্দ্রিয়গুলো তিন প্রকারের হয়। বাকী আরো দু'টি ইন্দ্রিয় এই জন্য উল্লেখ করা হয়নি যে, স্বাদ গ্রহণ স্পর্শের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, স্বাদ গ্রহণ করা ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জিনিসকে জিহ্বার ত্বকের উপর রাখা হবে। অনুরূপ ঘ্রাণ নেওয়াও ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভব নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে জিনিস নাসিকার ত্বকে স্পর্শ হবে। এইভাবে جُلود শব্দের মধ্যে তিনটি ইন্দ্রিয় চলে আসে। (ফাতহুল ক্বাদীর)