যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, [১] অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন [২] এবং তারপর সুসমঞ্জস করেছেন। [৩]
[১] অর্থাৎ, নিকৃষ্ট বীর্যবিন্দু থেকে, অথচ ইতিপূর্বে তোমার কোন অস্তিত্বই ছিল না।
[২] অর্থাৎ, তোমাকে একটি পূর্ণাঙ্গ মানবরূপে সৃষ্টি করেছেন। তুমি শ্রবণ করতে, দর্শন করতে এবং জ্ঞান-বুদ্ধি প্রয়োগ করতে পার।
[৩] তোমাকে মাঝারি গড়নের, লম্বালম্বি সোজা, সুশ্রী ও সুদর্শনময় বানিয়েছেন। অথবা তোমার দুটি চোখ, দুটি কান, দুটি হাত, দুটি পা (এবং অন্য সকল অঙ্গকে) সুসমঞ্জস যথোপযুক্ত আকৃতি দান করেছেন। যদি তোমার এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সামঞ্জস্যময় না হত, তাহলে তোমার অস্তিত্বে সুশ্রীময়তা প্রকাশ না পেয়ে কুশ্রীময়তা প্রকাশ পেত। এইরূপ সৃষ্টিকেই অন্য স্থানে 'আহসানে তাক্ববীম' (সুন্দরতম গঠন) বলে ব্যক্ত করা হয়েছে। (لَقَدْ خَلَقْنَا الإنْسَانَ فِيْ أَحْسَنِ تَقْوِيْم)