You are reading a tafsir for the group of verses 82:13 to 82:19
اِنَّ
الْاَبْرَارَ
لَفِیْ
نَعِیْمٍ
۟ۙ
وَاِنَّ
الْفُجَّارَ
لَفِیْ
جَحِیْمٍ
۟ۚۖ
یَّصْلَوْنَهَا
یَوْمَ
الدِّیْنِ
۟
وَمَا
هُمْ
عَنْهَا
بِغَآىِٕبِیْنَ
۟ؕ
وَمَاۤ
اَدْرٰىكَ
مَا
یَوْمُ
الدِّیْنِ
۟ۙ
ثُمَّ
مَاۤ
اَدْرٰىكَ
مَا
یَوْمُ
الدِّیْنِ
۟ؕ
یَوْمَ
لَا
تَمْلِكُ
نَفْسٌ
لِّنَفْسٍ
شَیْـًٔا ؕ
وَالْاَمْرُ
یَوْمَىِٕذٍ
لِّلّٰهِ
۟۠
3

১৩-১৯ নং আয়াতের তাফসীরএখানে আল্লাহ তা'আলা তাঁর ঐ বান্দাদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দিচ্ছেন যারা তাঁর অনুগত, বাধ্যগত এবং যারা পাপকর্ম হতে দূরে থাকে। (এ হাদীসটি ইবনে আসাকির (রঃ) বর্ণনা করেছেন)হযরত ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী (সঃ) বলেছেনঃ “তাদেরকে আবরার’ বলা হয়েছে এই কারণে যে, তারা পিতামাতার অনুগত ছিল এবং সন্তানদের সাথে ভাল ব্যবহার করতো।”পাপাচারীরা থাকবে জাহান্নামে। হিসাব-নিকাশ এবং প্রতিদান লাভ করার দিনে তথা কিয়ামতের দিনে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। এক ঘন্টা বা মুহুর্তের জন্যেও তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে নিষ্কৃতি দেয়া হবে না। তারা মৃত্যু বরণও করবে না এবং শান্তিও পাবে না। ক্ষণিকের জন্যেও তারা শাস্তি হতে দূরে থাকবে না।এরপর কিয়ামতের বিভীষিকা প্রকাশের জন্যে দুই দুইবার আল্লাহ পাক বলেনঃ ঐদিন কেমন তা তোমাদেরকে কোন জিনিস জানিয়েছে? তারপর তিনি নিজেই বলেনঃ কেউ কারো কোন উপকার করতে পারবে না এবং শাস্তি হতে নিষ্কৃতি দেয়ার ক্ষমতা রাখবে না। তবে হ্যা, কারো জন্যে সুপারিশের অনুমতি যদি স্বয়ং আল্লাহ কাউকেও প্রদান করেন তবে সেটা আলাদা কথা। এখানে একটি হাদীস উল্লেখ করা সমীচীন মনে করছি। তাহলো এই যে, নবী (সঃ) বলেনঃ “হে বানু হাশিম! তোমরা নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা কর। (জেনে রেখো যে,) আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদেরকে আল্লাহর আযাব হতে রক্ষা করার কোনই অধিকার রাখবো না।সূরা শুআ'রার তাফসীরের শেষাংশে এ হাদীসটি গত হয়েছে। এখানে এ কথাও বলেছেন যে, সেই দিন কর্তৃত্ব হবে আল্লাহর। যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ (আরবি)অর্থাৎ “আজ কতৃত্ব কার? এক, পরাক্রমশালী আল্লাহরই।” (৪০:১৬) আর বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যিনি কর্মফল দিবসের মালিক।” আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “সেই দিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে দয়াময়ের (অর্থাৎ আল্লাহর)” (২৫:২৬)এসব আয়াতের আসল বক্তব্য হলো এই যে, সেই দিন মালিকানা ও সময় কর্তৃত্ব একমাত্র কাহহার ও রহমানুর রাহীম আল্লাহর হাতে ন্যস্ত থাকবে। অবশ্য এখনো তিনিই সর্বময় ক্ষমতা ও একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অধিকারী বটে, কিন্তু সেই দিন বাহ্যিকভাবেও অন্য কেউই কোন হুকুমত ও কর্তৃত্বের অধিকারী থাকবে না। বরং সমস্ত কর্তৃত্ব হবে একমাত্র আল্লাহর।