سَیَقُوْلُ
الَّذِیْنَ
اَشْرَكُوْا
لَوْ
شَآءَ
اللّٰهُ
مَاۤ
اَشْرَكْنَا
وَلَاۤ
اٰبَآؤُنَا
وَلَا
حَرَّمْنَا
مِنْ
شَیْءٍ ؕ
كَذٰلِكَ
كَذَّبَ
الَّذِیْنَ
مِنْ
قَبْلِهِمْ
حَتّٰی
ذَاقُوْا
بَاْسَنَا ؕ
قُلْ
هَلْ
عِنْدَكُمْ
مِّنْ
عِلْمٍ
فَتُخْرِجُوْهُ
لَنَا ؕ
اِنْ
تَتَّبِعُوْنَ
اِلَّا
الظَّنَّ
وَاِنْ
اَنْتُمْ
اِلَّا
تَخْرُصُوْنَ
۟
3

যারা অংশী স্থাপন করেছে তারা অচিরেই বলবে, ‘আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে আমরা ও আমাদের পূর্বপুরুষেরা অংশী স্থাপন করতাম না এবং কোন কিছুই নিষিদ্ধও করতাম না।’[১] এভাবে তাদের পূর্ববর্তীগণও মিথ্যা মনে করেছিল, অবশেষে তারা আমার শাস্তি ভোগ করেছিল।[২] বল, ‘তোমাদের নিকট কোন যুক্তি আছে কি? থাকলে আমাদের নিকট তা পেশ কর।[৩] তোমরা শুধু ধারণারই অনুসরণ কর এবং শুধু অনুমানভিত্তিক কথাই বলে থাক।’

[১] এটা হল সেই ভুলই, যা আল্লাহর ইচ্ছা এবং তাঁর সন্তুষ্টি উভয়কে একই অর্থের মনে করা হয়ে থাকে। অথচ উভয়ের অর্থ ভিন্ন ভিন্ন। আর এর বিশ্লেষণ পূর্বে হয়ে গেছে।

[২] মহান আল্লাহ এই ভুল ধারণা এইভাবে দূর করলেন যে, যদি এই শিরক আল্লাহর সন্তুষ্টির আলোকে ছিল, তবে তাদের উপর আযাব কেন এল? আল্লাহর আযাব প্রমাণ করে যে, তাঁর ইচ্ছা এবং তাঁর সন্তুষ্টি একে অপর থেকে ভিন্ন জিনিস।

[৩] নিজেদের দাবীর উপর তোমাদের কাছে কোন দলীল থাকলে পেশ কর! কিন্তু তাদের কাছে দলীল কোথায়? তাদের কাছে তো খেয়াল ও ধারণা ছাড়া আর কিছুই নেই।