আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ হে মুহাম্মাদ (সঃ)! তোমার বিরুদ্ধবাদী দল ইয়াহূদী এবং মুশরিকরা যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তবে তাদেরকে বলে দাও তোমাদের প্রভু বড়ই করুণাময়! একথা বলে তাদেরকে উৎসাহিত করা হচ্ছে যে, তারাও যেন তার সুপ্রশস্ত ও ব্যাপক করুণা যা করে, তাহলে রাসূল (সঃ)-এর অনুসরণের তাদেরকে তাওফীক প্রদান করা হবে। কেননা, যদি তিনি অনুগ্রহ না করেন তবে পাপী ও অপরাধীদের থেকে আল্লাহর শাস্তি কেউই টলাতে পারবে না। এখানে আগ্রহ উৎপাদন ও ভয় প্রদর্শন উভয়ই হচ্ছে। ভাবার্থ হচ্ছে-তোমরা রাসূল (সঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ কর না, নতুবা তার শাস্তিতে পাকড়াও হয়ে যাবে। সব জায়গাতেই আল্লাহ তা'আলা আগ্রহ উৎপাদন ও ভয় প্রদর্শন এক সাথেই এনেছেন। যেমন এই সূরার শেষে রয়েছে- “আল্লাহ সত্বর শাস্তি প্রদানকারী এবং ক্ষমাশীল।” অর্থাৎ তিনি লোকদের পাপরাশি ক্ষমাকারী আবার তাদেরকে কঠোর শাস্তি প্রদানকারীও বটে। অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “হে নবী (সঃ)! আমার বান্দাদেরকে তুমি জানিয়ে দাও-আমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু আর আমার শাস্তিও হচ্ছে অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক।” অন্য জায়গায় তিনি বলেনঃ “তিনি পাপ মার্জনাকারী, তাওবা কবুলকারী এবং কঠোর শাস্তি প্রদানকারী।” আল্লাহ তা'আলা আর এক জায়গায় বলেনঃ “নিশ্চয়ই তোমার প্রভুর পাকড়াও অত্যন্ত কঠোর। তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেন এবং পুনর্বারও সৃষ্টি করবেন। আর তিনি অতিশয় ক্ষমাশীল, অত্যন্ত স্নেহ পরায়ণ।" এ সম্পর্কীয় বহু আয়াত রয়েছে।