قَدْ
خَسِرَ
الَّذِیْنَ
قَتَلُوْۤا
اَوْلَادَهُمْ
سَفَهًا
بِغَیْرِ
عِلْمٍ
وَّحَرَّمُوْا
مَا
رَزَقَهُمُ
اللّٰهُ
افْتِرَآءً
عَلَی
اللّٰهِ ؕ
قَدْ
ضَلُّوْا
وَمَا
كَانُوْا
مُهْتَدِیْنَ
۟۠
3

আল্লাহ পাক বলছেন যে, যারা এসব কাজ করে তারা ইহকালেও ক্ষতিগ্রস্ত এবং পরকালেও ক্ষতিগ্রস্ত। দুনিয়ার ক্ষতি এই যে, সন্তানদেরকে হত্যা করে তারা ধ্বংসের মুখে নিপতিত হলো, তাদের ধন-সম্পদে সংকীর্ণতা এসে গেল, আর নিজেদের পক্ষ থেকে তারা যে নতুন প্রথা চালু করলো তার ফলে ঐ উপকারী বস্তুগুলো হতে তারা বঞ্চিত হয়ে গেল। পরকালে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার স্বরূপ এই যে, তারা সবচেয়ে জঘন্য বাসস্থানের অধিকারী হলো। যেমন মহান আল্লাহ বলেনঃ “নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ দেয়, তারা কখনও সফলকাম হবে না, অল্প কয়েকদিন তারা দুনিয়ায় মজা উপভোগ করবে, অতঃপর তাঁরই কাছে তাদেরকে ফিরে যেতে হবে, তারপর তাদের কুফরীর কারণে তাদেরকে কঠিন শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।” হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ “যদি তোমরা আরবদের মূখ ও অজ্ঞতার পরিচয় লাভ করতে আগ্রহী হও তবে সূরায়ে আনআমের একশ’ ত্রিশ আয়াতের পরে পাঠ কর (আরবী)-এই আয়াত।” (এটা ইমাম বুখারী (রঃ) মানাকিব বা রাসূলুলাহ (সঃ)-এর পরিবারবর্গ ও সাহাবীগণের প্রশংসায় বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে মিরদুওয়াই (রঃ) এই আয়াতের তাফসীরে এটা তাখরীজ করেছেন)