وَكَذٰلِكَ
زَیَّنَ
لِكَثِیْرٍ
مِّنَ
الْمُشْرِكِیْنَ
قَتْلَ
اَوْلَادِهِمْ
شُرَكَآؤُهُمْ
لِیُرْدُوْهُمْ
وَلِیَلْبِسُوْا
عَلَیْهِمْ
دِیْنَهُمْ ؕ
وَلَوْ
شَآءَ
اللّٰهُ
مَا
فَعَلُوْهُ
فَذَرْهُمْ
وَمَا
یَفْتَرُوْنَ
۟
3

এরূপে তাদের দেবতাগণ বহু অংশীবাদীর দৃষ্টিতে সন্তান হত্যাকে শোভন করেছে[১] যাতে সে তাদের ধ্বংস সাধন করে এবং তাদের ধর্ম সম্বন্ধে তাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।[২] আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা এ করত না।[৩] সুতরাং তাদের মিথ্যা নিয়ে তাদেরকে থাকতে দাও।

[১] এখানে ইঙ্গিত করা হয়েছে সন্তানদেরকে তাদের জীবন্ত কবরস্থ করা অথবা মূর্তিদের নামে নজরানা পেশ করার প্রতি।

[২] অর্থাৎ, তাদের দ্বীনে শিরকের মিশ্রণ ঘটিয়ে।

[৩] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ স্বীয় এখতিয়ার ও কুদরতে তাদের ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে নিতেন। তখন অবশ্যই তারা ঐ কাজ করতে পারত না, যার উল্লেখ হয়েছে। কিন্তু এ রকম করলে জোর-জবরদস্তি করা হত, আর তাতে মানুষকে পরীক্ষা করা যেত না। অথচ আল্লাহ তাআলা মানুষকে ইচ্ছা ও এখতিয়ারের স্বাধীনতা দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। তাই তিনি জোর-জবরদস্তি করেননি।