ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা প্রকাশ্য ও গোপনীয় সমস্ত পাপকার্য পরিত্যাগ কর। মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, এর দ্বারা ঐ পাপকার্যকে বুঝানো হয়েছে যা কার্যে পরিণত করার নিয়ত কোন আমলকারী করেছে। কাতাদা (রঃ) বলেন যে, এর দ্বারা গোপনীয় ও প্রকাশ্য এবং কম বেশী গুনাহের কাজ বঝানো হয়েছে । সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, প্রকাশ্য পাপ হচ্ছে লজ্জাহীনা নারীদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা, আর গোপনীয় পাপকার্য হচ্ছে গুপ্তভাবে অসতী নারীদের সাথে কুকার্যে লিপ্ত হয়ে পড়া। ইকরামা (রঃ) বলেন যে, প্রকাশ্য পাপকার্য হচ্ছে বিবাহ-নিষিদ্ধ নারীদেরকে বিয়ে করা। কিন্তু সঠিক কথা এই যে, আয়াতটি আম বা সাধারণ । এটা কোন পাপকার্যকেই নির্দিষ্ট করে না। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, “হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাও আমার প্রতিপালক সর্ব প্রকারের নির্লজ্জতাপূর্ণ কাজকে হারাম করে দিয়েছেন, সেগুলো প্রকাশ্যভাবেই হাক বা গোপনীয়ভাবেই হাক। এ জন্যেই আল্লাহ পাক বলেন, যারা পাপের কাজ করে, তাদেরকে সত্বরই তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল দেয়া হবে, সেই কাজ প্রকাশ্যভাবেই হাক বা গোপনীয়ভাবেই হাক। নুওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-কে (আরবী) এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “যাতে তোমার অন্তরে খটকা লাগে এবং তুমি এটা পছন্দ কর না যে, লোকের কাছে তা প্রকাশ হয়ে পড়ুক তাই (আরবী) বা গুনাহ।” (এই হাদীসটি ইবনে আবি হাতিম (রঃ) নুওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন)