আর যদি তুমি দুনিয়ার অধিকাংশ লোকের কথামত চল, তাহলে তারা তোমাকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করে দেবে। তারা তো শুধু অনুমানের অনুসরণ করে এবং তারা কেবল অনুমানভিত্তিক কথাবার্তাই বলে থাকে। [১]
[১] কুরআনে বর্ণিত এই সত্যের বাস্তব চিত্র প্রত্যেক যুগে লক্ষ্য করা যেতে পারে। অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন, {وَمَا أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ} অর্থাৎ, তোমার আগ্রহ সত্ত্বেও অধিকাংশ লোক বিশ্বাসী নয়। (সূরা ইউসুফ ১২:১০৩) এ থেকে জানা গেল যে, ন্যায় ও সত্য পথের পথিকদের সংখ্যা সব সময় কমই হয়। আর এ থেকে এটাও সাব্যস্ত হয় যে, হক ও বাতিলের মাপকাঠি হল দলীল ও প্রমাণাদি, অনুসারীদের সংখ্যায় বেশী হওয়া অথবা কম হওয়া এর মাপকাঠি নয়। অর্থাৎ, এমন নয় যে, যে কথাটা অধিকাংশ মানুষ অবলম্বন করেছে, সেটাই হক এবং যেটা অল্প সংখ্যক লোক অবলম্বন করেছে, সেটা বাতিল। বরং উল্লেখিত ঐ কুরআনী তত্ত্ব ও বাস্তবতার ভিত্তিতে এটাই বেশী সম্ভবপর যে, হকপন্থীরা সংখ্যালঘু এবং বাতিলপন্থীরা সংখ্যাগুরু হবে। আর এর সমর্থন সেই হাদীস থেকেও হয়, যাতে নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, "আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হয়ে যাবে এবং এর মধ্য থেকে কেবল একটি দল জান্নাতী হবে, অবশিষ্টরা হবে জাহান্নামী। আর এই জান্নাতী দলের নিদর্শন সম্পর্কে তিনি (সাঃ) বলেছেন, (مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي) যারা আমার ও আমার সাহাবার তরীকার উপর কায়েম থাকবে।" (আবূ দাউদঃ সুন্নাহ অধ্যায়, তিরমিযীঃ ঈমান অধ্যায়)