وَكَذٰلِكَ
جَعَلْنَا
لِكُلِّ
نَبِیٍّ
عَدُوًّا
شَیٰطِیْنَ
الْاِنْسِ
وَالْجِنِّ
یُوْحِیْ
بَعْضُهُمْ
اِلٰی
بَعْضٍ
زُخْرُفَ
الْقَوْلِ
غُرُوْرًا ؕ
وَلَوْ
شَآءَ
رَبُّكَ
مَا
فَعَلُوْهُ
فَذَرْهُمْ
وَمَا
یَفْتَرُوْنَ
۟
3

এরূপে আমি শয়তান মানব ও শয়তান জ্বিনকে প্রত্যেক নবীর শত্রু করেছি।[১] তারা প্রতারণার উদ্দেশ্যে তাদের একে অন্যকে চমকপ্রদ বাক্য দ্বারা প্ররোচিত করে থাকে;[২] যদি তোমার প্রতিপালক ইচ্ছা করতেন, তাহলে তারা এ করত না।[৩] সুতরাং তুমি তাদেরকে এবং তাদের মিথ্যা রচনাকে পরিত্যাগ কর।

[১] এটা সেই কথাই, যা বিভিন্নভাবে রসূল (সাঃ)-এর সান্ত্বনার জন্য বলা হয়েছে। অর্থাৎ, তোমার পূর্বে যত নবীই এসেছিল, তাদের সকলকে মিথ্যাজ্ঞান করা হয়েছে, তাদেরকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে এবং আরো অনেক কিছু তাদের সাথে করা হয়েছে। বলার উদ্দেশ্য হল, যেভাবে তারা ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে কাজ করেছে, তুমিও ঐভাবে সত্যের এই শত্রুদের বিরুদ্ধে ধৈর্য ও দৃঢ়তা প্রদর্শন কর। এ থেকে এটাও জানা গেল যে, শয়তানের অনুসারী দল জ্বিনদের মধ্য থেকেও আছে এবং মানুষদের মধ্য থেকেও। আর এরা হল উভয় দলের অবাধ্য, সীমালঙ্ঘনকারী এবং দাম্ভিক প্রকৃতির লোকেরা।

[২] وَحْيٌ গোপন কথাকে বলে। অর্থাৎ, মানুষ ও জ্বিনদের ভ্রষ্ট করার জন্য একে অপরকে ছল-চাতুরী ও চালাকি শিখায়। যাতে তারা মানুষদেরকে ধোঁকা ও প্রতারণায় ফেলতে পারে। আর সাধারণতঃ এটা দেখাও যায় যে, শয়তানী কর্মসমূহে মানুষ একে অপরকে অতি উৎসাহের সাথে সহযোগিতা করে, যার কারণে অন্যায়ের প্রসার খুব তাড়াতাড়ি ঘটে।

[৩] অর্থাৎ, মহান আল্লাহ শয়তানের এই সমস্ত ষড়যন্ত্রকে নিষ্ফল করতে সক্ষম, কিন্তু তিনি জোরপূর্বক এ রকম করবেন না। কেননা, এ রকম করা তাঁর সেই নিয়ম-নীতির বিপরীত, যা তিনি তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী এখতিয়ার করেছেন এবং এর হিকমত ও যৌক্তিকতা তিনিই ভাল জানেন।