وَاَقْسَمُوْا
بِاللّٰهِ
جَهْدَ
اَیْمَانِهِمْ
لَىِٕنْ
جَآءَتْهُمْ
اٰیَةٌ
لَّیُؤْمِنُنَّ
بِهَا ؕ
قُلْ
اِنَّمَا
الْاٰیٰتُ
عِنْدَ
اللّٰهِ
وَمَا
یُشْعِرُكُمْ ۙ
اَنَّهَاۤ
اِذَا
جَآءَتْ
لَا
یُؤْمِنُوْنَ
۟
3

আর তারা আল্লাহর নামে কঠিন শপথ[১] করে বলে, ‘তাদের নিকট যদি কোন নিদর্শন আসে,[২] তাহলে অবশ্যই তারা তাতে বিশ্বাস করবে।’ বল, ‘নিশ্চয়ই নিদর্শনসমূহ তো আল্লাহর এখতিয়ারভুক্ত।’[৩] তাদের নিকট নিদর্শনাবলী এলেও তারা যে বিশ্বাস করবে না, তা কিভাবে তোমাদেরকে বুঝানো যাবে?

[১] جَهَدَ أَيْمَانِهِمْ، أَيْ: حَلَفُوْا أَيْمَانًا مُؤَكَّدَةً বড় দৃঢ়তার সাথে কসম খাওয়া।

[২] অর্থাৎ, কোন বড় মু'জিযা যা তাদের ইচ্ছার অনুবর্তী হবে। যেমন, মূসা (আঃ)-এর লাঠি, ঈসা (আঃ)-এর মৃতকে জীবিত করা, সামূদের উটনী ইত্যাদি।

[৩] তাদের অস্বাভাবিক এ জিনিসের দাবী কেবল ধৃষ্টতা ও শত্রুতা স্বরূপ; হিদায়াত অর্জনের নিয়তে নয়। তাছাড়া এই মু'জিযার বিকাশ ঘটানোর সমস্ত এখতিয়ার আল্লাহরই হাতে। তিনি ইচ্ছা করলে তাদের দাবীসমূহ পূরণ করবেন। কোন কোন 'মুরসাল' (সূত্রছিন্ন) বর্ণনায় এসেছে যে, মক্কার কাফেররা নবী করীম (সাঃ)-এর কাছে দাবী করল যে, সাফা পাহাড়কে সোনার বানিয়ে দিলে আমরা ঈমান আনব। তখন জিবরীল (আঃ) বললেন, এর পরও যদি তারা ঈমান না আনে, তবে তাদেরকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে। আর এটা নবী করীম (সাঃ) পছন্দ করলেন না। (ইবনে কাসীর)