قَدْ
جَآءَكُمْ
بَصَآىِٕرُ
مِنْ
رَّبِّكُمْ ۚ
فَمَنْ
اَبْصَرَ
فَلِنَفْسِهٖ ۚ
وَمَنْ
عَمِیَ
فَعَلَیْهَا ؕ
وَمَاۤ
اَنَا
عَلَیْكُمْ
بِحَفِیْظٍ
۟
3

তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তোমাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণ অবশ্যই এসেছে। সুতরাং কেউ তা দেখলে, তা দিয়ে সে নিজেই লাভবান হবে। আর কেউ অন্ধ হলে, তাতে সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।[১] আর আমি তোমাদের তত্ত্বাবধায়ক নই।[২]

[১] بَصَائِرُ হল بَصِيْرَةٌ এর বহুবচন। আর তা আসলে হল অন্তরের জ্যোতির নাম। তবে এখানে তা থেকে সেই প্রমাণাদিকে বুঝানো হয়েছে, যেগুলোকে কুরআন একাধিক স্থানে বারংবার বর্ণনা করেছে এবং যেগুলোকে নবী করীম (সাঃ)ও তাঁর বহু হাদীসে তুলে ধরেছেন। যে এই প্রমাণাদিকে দেখে হিদায়াতের পথ অবলম্বন করবে, তাতে তারই লাভ হবে। আর অবলম্বন না করলে ক্ষতিও তারই হবে। যেমন, (আল্লাহ) বলেন, {مَنِ اهْتَدَى فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ وَمَنْ ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا} (الإسراء: ১৫) আলোচ্য আয়াতের যে অর্থ এই আয়াতের অর্থও তা-ই।

[২] বরং আমি কেবল মুবাল্লিগ (যার কাজ পৌঁছে দেওয়া), দায়ী (আহবানকারী) এবং সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। পথ দেখিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব, কিন্তু সে পথে পরিচালনা করা আল্লাহর এখতিয়ারাধীন।