You are reading a tafsir for the group of verses 30:8 to 30:10
اَوَلَمْ
یَتَفَكَّرُوْا
فِیْۤ
اَنْفُسِهِمْ ۫
مَا
خَلَقَ
اللّٰهُ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضَ
وَمَا
بَیْنَهُمَاۤ
اِلَّا
بِالْحَقِّ
وَاَجَلٍ
مُّسَمًّی ؕ
وَاِنَّ
كَثِیْرًا
مِّنَ
النَّاسِ
بِلِقَآئِ
رَبِّهِمْ
لَكٰفِرُوْنَ
۟
اَوَلَمْ
یَسِیْرُوْا
فِی
الْاَرْضِ
فَیَنْظُرُوْا
كَیْفَ
كَانَ
عَاقِبَةُ
الَّذِیْنَ
مِنْ
قَبْلِهِمْ ؕ
كَانُوْۤا
اَشَدَّ
مِنْهُمْ
قُوَّةً
وَّاَثَارُوا
الْاَرْضَ
وَعَمَرُوْهَاۤ
اَكْثَرَ
مِمَّا
عَمَرُوْهَا
وَجَآءَتْهُمْ
رُسُلُهُمْ
بِالْبَیِّنٰتِ ؕ
فَمَا
كَانَ
اللّٰهُ
لِیَظْلِمَهُمْ
وَلٰكِنْ
كَانُوْۤا
اَنْفُسَهُمْ
یَظْلِمُوْنَ
۟ؕ
ثُمَّ
كَانَ
عَاقِبَةَ
الَّذِیْنَ
اَسَآءُوا
السُّوْٓاٰۤی
اَنْ
كَذَّبُوْا
بِاٰیٰتِ
اللّٰهِ
وَكَانُوْا
بِهَا
یَسْتَهْزِءُوْنَ
۟۠
3

৮-১০ নং আয়াতের তাফসীরযেহেতু এ সৃষ্টি জগতের অণু-পরমাণু আল্লাহ তা'আলার অসীম ক্ষমতার প্রকাশ এবং তার আধিপত্য ও সার্বভৌম ক্ষমতার নিদর্শন, সেহেতু ইরশাদ হচ্ছে- তোমরা সমগ্র সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা কর। আল্লাহর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনসমূহ দেখে তাঁর পরিচয় লাভ কর এবং তাঁর মহাশক্তির মর্যাদা দাও। কখনো কখনো ঊর্ধাকাশের সৃষ্টি নৈপুণ্যের প্রতি লক্ষ্য কর এবং কখনো কখনো যমীনের সৃষ্টিতত্ত্বের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর। এসব বৃথা বা বিনা কারণে সৃষ্টি করা হয়নি। বরং মহান আল্লাহ মহৎ উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই এগুলো সৃষ্টি করেছেন। এগুলোকে তিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর অসীম ক্ষমতার নিদর্শনরূপে। প্রত্যেক জিনিসের একটা নির্ধারিত সময় রয়েছে। কিয়ামতেরও একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, যা অধিকাংশ লোকই বিশ্বাস করে না।এরপর নবীদের সত্যবাদিতা প্রকাশ করতে গিয়ে আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ চেয়ে দেখো, তাঁদের বিরুদ্ধবাদীদের পরিণাম হয়েছে কত মন্দ! পক্ষান্তরে যারা তাদেরকে মেনে নিয়েছে, উভয় জগতে তাদের কি ধরনের মর্যাদা ও সম্মান লাভ হয়েছে! তোমরা সারা পৃথিবী পরিভ্রমণ করে দেখো, তোমাদের পূর্বের ঘটনাবলীর নিদর্শন দেখতে পাবে। তোমাদের পূর্ববর্তী জাতিগুলো তোমাদের চেয়ে অধিক শক্তিশালী ছিল। তোমাদের অপেক্ষা ধন-দৌলত তাদের বেশী ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্যও তারা তোমাদের চেয়ে বেশী করতো। জমি-জমা ও ক্ষেত-খামারও ছিল তাদের তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী। তাদের কাছে রাসূলগণ মু'জিযা ও দলীল প্রমাণাদি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ঐ হতভাগ্যেরা তাদেরকে মেনে নেয়নি, বরং তাঁদেরকে তারা অবিশ্বাস করেছিল। তারা নানা প্রকারের মন্দকার্যে লিপ্ত থাকতো। অবশেষে আল্লাহর গযব তাদের উপর পতিত হলো। ঐ সময় তাদেরকে উদ্ধার করে এমন কেউ ছিল না। এটা তাদের প্রতি আল্লাহর যুলুম ছিল না। তিনি তাদের মন্দ কর্মের পরিণতি হিসেবেই তাদের প্রতি শাস্তি নাযিল করেছিলেন। আল্লাহর আয়াতসমূহকে তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো, তাঁর কথায় তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ তাদের বে-ঈমানীর কারণে আমি তাদের অন্তর ও দৃষ্টি অন্যদিকে ফিরিয়ে দিই এবং তাদের অবাধ্যতায় বিভ্রান্তের ন্যায় ঘুরিয়ে বেড়াতে ছেড়ে দিই।” (৬:১১১) আরো বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যখন তারা বক্রপথ অবলম্বন করলো তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়কে বক্র করে দিলেন।” (৬১:৫) আর এক জায়গায় বলেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “যদি তারা বিমুখ হয়ে যায় তবে জেনে রেখো যে, তাদের কতক পাপের কারণে আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দ্বারা পাকড়াও করতে চান।" (৫:৪৯) এর উপর ভিত্তি করে শব্দটি (আরবি) বা (আরবি) যবরযুক্ত হবে (আরবি) ক্রিয়ার বা কর্ম হয়ে। এটাও একটা উক্তি যে, (আরবি) এখানে এভাবেই পতিত হয়েছে যে, তাদের পরিণাম মন্দ হয়েছে, কেননা তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করতো এবং ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো। এই হিসেবে এই শব্দটি যবরযুক্ত হবে (আরবি)-এর (আরবি) বা বিধেয় হয়ে। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এই ব্যাখ্যাই করেছেন এবং হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) ও হযরত কাতাদা (রঃ) হতে কথাটা বর্ণনাও করেছেন। যহহাকও (রঃ) একথাই বলেন এবং প্রকৃত ব্যাপারও তাই। কেননা, এরপরেই আছেঃ(আরবি) েঅর্থাৎ “তা নিয়ে তারা ঠাট্টা-বিদ্রুপ করতো।”