ثُمَّ
قَسَتْ
قُلُوْبُكُمْ
مِّنْ
بَعْدِ
ذٰلِكَ
فَهِیَ
كَالْحِجَارَةِ
اَوْ
اَشَدُّ
قَسْوَةً ؕ
وَاِنَّ
مِنَ
الْحِجَارَةِ
لَمَا
یَتَفَجَّرُ
مِنْهُ
الْاَنْهٰرُ ؕ
وَاِنَّ
مِنْهَا
لَمَا
یَشَّقَّقُ
فَیَخْرُجُ
مِنْهُ
الْمَآءُ ؕ
وَاِنَّ
مِنْهَا
لَمَا
یَهْبِطُ
مِنْ
خَشْیَةِ
اللّٰهِ ؕ
وَمَا
اللّٰهُ
بِغَافِلٍ
عَمَّا
تَعْمَلُوْنَ
۟
3

এর পরও তোমাদের হূদয় কঠিন হয়ে গেল; (১) তা পাষাণ কিংবা তার থেকেও কঠিনতর, কিছু পাথর এমন আছে যে, তা থেকে নদী-নালা প্রবাহিত হয় এবং কিছু পাথর এমন আছে যে, বিদীর্ণ হওয়ার পর তা থেকে পানি নির্গত হয়। আবার কিছু পাথর এমন আছে, যা আল্লাহর ভয়ে ধসে পড়ে। (২) বস্তুতঃ তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আল্লাহ উদাসীন নন।

(১) অর্থাৎ, বিগত মু'জিযাসমূহ এবং হতকে পুনরায় জীবিত করার এই জলজ্যান্ত ঘটনা দেখার পরও তোমাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তনের উৎসাহ এবং তাওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করার আগ্রহ সৃষ্টি না হয়ে উলটো তোমাদের হূদয় পাথরের মত কঠিন বরং তার চেয়েও শক্ত হয়ে গেল! আর হূদয় কঠিন হয়ে যাওয়া ব্যক্তি ও উম্মতের জন্য বড়ই ক্ষতিকর। অন্তর কঠিন হওয়া এই কথারই নিদর্শন যে, সেই অন্তর থেকে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার যোগ্যতা এবং সত্যকে গ্রহণ করার ক্ষমতা নিঃশেষ হয়ে গেছে। এরপর তার সংশোধনের আশা কম, বরং সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ারই আশঙ্কা বেশী থাকে। এই জন্যই ঈমানদারদেরকে তাগিদ করা হয়েছে যে, {وَلا يَكُونُوا كَالَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلُ فَطَالَ عَلَيْهِمُ الْأَمَدُ فَقَسَتْ قُلُوبُهُمْ} "তারা (ঈমানদারগণ) তাদের মত যেন না হয়, যাদেরকে পূর্বে কিতাব দেওয়া হয়েছিল। অতঃপর তাদের উপর সুদীর্ঘকাল অতিক্রান্ত হলে তাদের অন্তঃকরণ কঠিন হয়ে গেছে।" (সূরা আল-হাদীদ ৫৭:১৬)(২) এই আয়াত দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, পাথর কঠিন ও শক্ত হওয়া সত্ত্বেও তা থেকে উপকার পাওয়া যায়, তার মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং এক প্রকার চেতনা ও অনুভূতি শক্তি তার মধ্যেও বিদ্যমান থাকে। যেমন মহান আল্লাহ বলেন,{تُسَبِّحُ لَهُ السَّمَاوَاتُ السَّبْعُ وَالْأَرْضُ وَمَنْ فِيهِنَّ وَإِنْ مِنْ شَيْءٍ إِلَّا يُسَبِّحُ بِحَمْدِهِ وَلَكِنْ لا تَفْقَهُونَ تَسْبِيحَهُمْ} (الاسراء:৪৪)অধিক জানার জন্য সূরা বানী-ইস্রাঈলের ১৭:৪৪ নং আয়াতের পাদটীকা দ্রষ্টব্য।