وَاِذْ
اَخَذْنَا
مِیْثَاقَكُمْ
وَرَفَعْنَا
فَوْقَكُمُ
الطُّوْرَ ؕ
خُذُوْا
مَاۤ
اٰتَیْنٰكُمْ
بِقُوَّةٍ
وَّاذْكُرُوْا
مَا
فِیْهِ
لَعَلَّكُمْ
تَتَّقُوْنَ
۟
3

৬৩ নং আয়াতের তাফসীর:

مِيْثَاقٌ বা অঙ্গীকার দ্বারা উদ্দেশ্য হল একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত করা, নিকটাত্মীয় ও পিতা-মাতার সাথে সদাচরণ করা, সালাত প্রতিষ্ঠা করা, যাকাত প্রদান করা।

যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

(وَاِذْ اَخَذْنَا مِیْثَاقَ بَنِیْٓ اِسْرَا۬ءِیْلَ لَا تَعْبُدُوْنَ اِلَّا اللہَﺤ وَبِالْوَالِدَیْنِ اِحْسَانًا وَّذِی الْقُرْبٰی وَالْیَتٰمٰی وَالْمَسٰکِیْنِ وَقُوْلُوْا لِلنَّاسِ حُسْنًا وَّاَقِیْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّکٰوةَﺚ ثُمَّ تَوَلَّیْتُمْ اِلَّا قَلِیْلًا مِّنْکُمْ وَاَنْتُمْ مُّعْرِضُوْنَﮢوَاِذْ اَخَذْنَا مِیْثَاقَکُمْ لَا تَسْفِکُوْنَ دِمَا۬ءَکُمْ وَلَا تُخْرِجُوْنَ اَنْفُسَکُمْ مِّنْ دِیَارِکُمْ ثُمَّ اَقْرَرْتُمْ وَاَنْتُمْ تَشْھَدُوْنَ)

“আর যখন আমি বানী ইসরাঈল হতে অঙ্গীকার নিয়েছিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ব্যতীত আর কারো ইবাদত করবে না, পিতা-মাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে ও আত্মীয়দের, অনাথদের ও মিসকিনদের সঙ্গেও (সদ্ব্যবহার করবে), আর তোমরা মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলবে এবং সালাত কায়িম করবে ও যাকাত প্রদান করবে; তৎপর তোমাদের মধ্য হতে অল্প সংখ্যক ব্যতীত তোমরা সকলেই বিমুখ হয়েছিলে যেহেতু তোমরা অগ্রাহ্যকারী ছিলে। এবং আমি যখন তোমাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করছিলাম যে, পরস্পর রক্তপাত করবে না এবং স্বীয় বাসস্থান হতে আপন ব্যক্তিদেরকে বহিস্কৃত করবে না; তৎপর তোমরা স্বীকৃতি দিয়েছিলে এবং তোমরাই ওর সাক্ষী ছিলে।”(বাকারাহ ২:৮৩-৮৪)

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাদের ওপর পাহাড় তুলে ধরলেন। আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

(وَاِذْ نَتَقْنَا الْجَبَلَ فَوْقَھُمْ کَاَنَّھ۫ ظُلَّةٌ وَّظَنُّوْٓا اَنَّھ۫ وَاقِعٌۭ بِھِمْﺆ خُذُوْا مَآ اٰتَیْنٰکُمْ بِقُوَّةٍ وَّاذْکُرُوْا مَا فِیْھِ لَعَلَّکُمْ تَتَّقُوْنَ)

“স্মরণ কর, আমি পর্বতকে তাদের ঊর্ধ্বে উত্তোলন করি ছায়া সদৃশ। তারা মনে করল যে, সেটা তাদের ওপর পড়ে যাবে। বললাম, ‘আমি যা দিলাম তা দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং তাতে যা আছে তা স্মরণ কর, যাতে তোমরা তাক্ওয়ার অধিকারী হও।” (সূরা আ‘রাফ ৭:১৭১)

তারা আল্লাহ তা‘আলার অঙ্গীকার সঠিকভাবে পালন না করায় আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে ভীতিপ্রদর্শন মূলক তাদের মাথার ওপর পর্বত তুলে ধরে তাদের অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলা সকল জাতির কাছ থেকে একমাত্র তাঁর ইবাদত করার অঙ্গীকার নিয়েছেন।

২. আমাদের উচিত নাবী ইসরাঈলের মত কিতাবকে ছেড়ে না দিয়ে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা, ফলে ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি লাভ করি।