You are reading a tafsir for the group of verses 2:63 to 2:64
وَاِذْ
اَخَذْنَا
مِیْثَاقَكُمْ
وَرَفَعْنَا
فَوْقَكُمُ
الطُّوْرَ ؕ
خُذُوْا
مَاۤ
اٰتَیْنٰكُمْ
بِقُوَّةٍ
وَّاذْكُرُوْا
مَا
فِیْهِ
لَعَلَّكُمْ
تَتَّقُوْنَ
۟
ثُمَّ
تَوَلَّیْتُمْ
مِّنْ
بَعْدِ
ذٰلِكَ ۚ
فَلَوْلَا
فَضْلُ
اللّٰهِ
عَلَیْكُمْ
وَرَحْمَتُهٗ
لَكُنْتُمْ
مِّنَ
الْخٰسِرِیْنَ
۟
3

৬৩-৬৪ নং আয়াতের তাফসীরএ আয়াত দু'টোতে আল্লাহ্ তা'আলা বানী ইসরাঈলকে আহাদ ও অঙ্গীকারের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেছেনঃ ‘আমার ইবাদত ও আমার নবী (আঃ)-এর অনুসরণের অঙ্গীকার আমি তোমাদের কাছে নিয়েছিলাম এবং সেই অঙ্গীকার পুরো করার জন্যে আমি তূর পাহাড়কে তোমাদের মাথার উপর সমুচ্চ করেছিলাম।" যেমন অন্য জায়গায় রয়েছেঃ যখন আমি পাহাড়কে সামিয়ানার মত তাদের মাথার উপর সমুচ্চ করেছিলাম এবং তারা এই বিশ্বাস করে ফেলেছিল যে, তা তাদের প্রতি নিক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে দলিত করবে, সে সময় আমি বলেছিলাম যে, আমার প্রদত্ত জিনিসকে শক্ত করে ধর এবং ওর মধ্যে যা কিছু আছে তা স্মরণ কর-তা হলে রক্ষা পেয়ে যাবে।'‘তূর-এর ভাবার্থ পাহাড়-যেমন সূরা-ই- আ'রাফের আয়াতে আছে এবং সাহাবীগণ (রাঃ) ও তাবেঈগণ এর তাফসীর করেছেন। আর এটাই স্পষ্ট। প্র’ ঐ পাহাড়কে বলা হয় যার উপর গাছ পালা জন্মে। ফিৎনার হাদীসে হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তারা আনুগত্য স্বীকারে অসম্মত হলে পাহাড়টি তাদের মাথার উপর উঠিয়ে দেয়া হয় যেন তারা আনুগত্য স্বীকারে সম্মত হতে বাধ্য হয়। সুদ্দী (রঃ) বলেন যে, তারা সিজদা করতে অস্বীকতি জ্ঞাপন করায় তাদের মাথার উপর পর্বত উঠে যায়। কিন্তু সাথে সাথেই তারা সিজদায় পড়ে যায় এবং ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আড় চোখে উপরের দিকে দেখতে থাকে। এতে আল্লাহ তাআলা তাদের প্রতি সদয় হন এবং পাহাড় সরিয়ে নেন। এ জন্যেই তারা ঐ সিজদাই পছন্দ করে যে, অর্ধেক দেহ সিজদায় থাকে এবং অন্য দিক দিয়ে উপরের দিকে দেখতে থাকে। যা আমি দিয়েছি’ এর ভাবার্থ হচ্ছে তাওরাত'। -এর অর্থ হচ্ছে শক্তি। অর্থাৎ “তোমরা তাওরাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করতঃ এর উপর আমল করার অঙ্গীকার কর, নতুবা তোমাদের উপর পাহাড় নিক্ষেপ করা হবে। আর এর মধ্যে যা আছে তা স্মরণ কর’ অর্থাৎ তাওরাত পড়তে থাক।” কিন্তু তারা এতো পাকা ও শক্ত অঙ্গীকারকেও গ্রাহ্য করলো না এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে দিলো।এখন মহান আল্লাহ যদি দয়াপরবশ হয়ে তাদের তাওবা ককূল না করতেন এবং নবীদের (আঃ) ক্ৰম পরম্পরা চালু না রাখতেন তবে অবশ্যই তারা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এই ওয়াদা ভঙ্গের কারণে তারা দুনিয়া ও আখেরাতে ধ্বংস হয়ে যেতো।