وَاِذْ
قَالَ
مُوْسٰی
لِقَوْمِهٖ
یٰقَوْمِ
اِنَّكُمْ
ظَلَمْتُمْ
اَنْفُسَكُمْ
بِاتِّخَاذِكُمُ
الْعِجْلَ
فَتُوْبُوْۤا
اِلٰی
بَارِىِٕكُمْ
فَاقْتُلُوْۤا
اَنْفُسَكُمْ ؕ
ذٰلِكُمْ
خَیْرٌ
لَّكُمْ
عِنْدَ
بَارِىِٕكُمْ ؕ
فَتَابَ
عَلَیْكُمْ ؕ
اِنَّهٗ
هُوَ
التَّوَّابُ
الرَّحِیْمُ
۟
3

আর মূসা যখন আপন সম্প্রদায়ের লোককে বললেন, হে আমার সম্প্রদায়! গো-বৎসকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করে তোমরা নিজেদের প্রতি ঘোর অনাচার করেছ। সুতরাং তোমরা তোমাদের স্রষ্টার দিকে ফিরে যাও (তওবা কর) এবং তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর। তোমাদের স্রষ্টার নিকট এটাই শ্রেয়। তিনি তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরায়ণ হবেন। নিশ্চয় তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (১)

(১) যখন মূসা (আঃ) নিজ সম্প্রদায়কে শির্ক থেকে সতর্ক করলেন, তখন তাদের মধ্যে তাওবা করার প্রেরণা সৃষ্টি হল। তাওবার পদ্ধতি (প্রায়শ্চিত্ত) আপোস-হত্যা নির্বাচিত হল। {فَاقْتُلُوْآ أَنْفُسَكُمْ} (তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর) এই আয়াতের দু'টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে, (ক) সকলকে দুই কাতারে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় এবং তারা একে অপরকে হত্যা করে। (খ) যারা শির্ক করেছিল তাদেরকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয় এবং যারা শির্ক থেকে বেঁচে ছিল, তাদেরকে হত্যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে শির্কমুক্তরা মুশরিকদেরকে হত্যা করে। হতদের সংখ্যা ৭০ হাজার বলা হয়েছ (ইবনে কাসীর ও ফাতহুল ক্বাদীর)