كَیْفَ
تَكْفُرُوْنَ
بِاللّٰهِ
وَكُنْتُمْ
اَمْوَاتًا
فَاَحْیَاكُمْ ۚ
ثُمَّ
یُمِیْتُكُمْ
ثُمَّ
یُحْیِیْكُمْ
ثُمَّ
اِلَیْهِ
تُرْجَعُوْنَ
۟
3

২৮ নং আয়াতের তাফসীর:

অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা তাঁর অস্বীকারকারিদেরকে তিরস্কার ও ভর্ৎসনা করে বলেন: তোমরা কিভাবে আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী কর? অথচ তিনি তোমাদেরকে অস্তিত্বহীন থেকে অস্তিত্ব দান করেছেন।

আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন:

(ھَلْ اَتٰی عَلَی الْاِنْسَانِ حِیْنٌ مِّنَ الدَّھْرِ لَمْ یَکُنْ شَیْئًا مَّذْکُوْرًا)

“মানুষের এমন এক সময় কি অতিবাহিত হয়নি যখন সে উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিল না?” (সূরা দাহর ৭৬:১)

তোমরা ছিলে পিতার পৃষ্ঠদেশে শুক্রকিট ও মায়ের জরায়ুতে ডিম্বানু আকারে মৃত, আল্লাহ তা‘আলা সেখান থেকে জীবন দান করে বাচ্চা আকারে পৃথিবীতে নিয়ে আসলেন। অতঃপর বিভিন্ন নেয়ামত দ্বারা জীবিত রাখার পর বয়স পরিপূর্ণ হয়ে গেলে মৃত্যু দান করলেন। তারপর কবরস্থ করলেন প্রতিদান দেয়ার জন্য, আবার পূর্ণ প্রতিদান দেয়ার জন্য পুনরুত্থিত করবেন।

অতএব তোমরা সার্বক্ষণিক আল্লাহ তা‘আলার তত্ত্বাবধানাধীন, তারপরও আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী করা কি সঙ্গত? না! বরং এটা বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার সাথে কুফরী না করে তোমাদের উচিত তাঁকে যথাযথ ভয় করা, তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তাঁর প্রতি ঈমান আনা, তাঁর আযাবকে ভয় করা এবং সওয়াবের আশা করা। (তাফসীর সা‘দী, পৃ. ২৫)

আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়:

১. আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে সৃষ্টি করে যেমন দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন তেমন হিসাব-নিকাশের জন্য আবার হাশরের ময়দানে উপস্থিত করবেন।

২. আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ঈমান আনা ও তাঁর নেয়ামতের কৃজ্ঞতা প্রকাশ করা একান্ত কর্তব্য।