You are reading a tafsir for the group of verses 29:8 to 29:9
وَوَصَّیْنَا
الْاِنْسَانَ
بِوَالِدَیْهِ
حُسْنًا ؕ
وَاِنْ
جَاهَدٰكَ
لِتُشْرِكَ
بِیْ
مَا
لَیْسَ
لَكَ
بِهٖ
عِلْمٌ
فَلَا
تُطِعْهُمَا ؕ
اِلَیَّ
مَرْجِعُكُمْ
فَاُنَبِّئُكُمْ
بِمَا
كُنْتُمْ
تَعْمَلُوْنَ
۟
وَالَّذِیْنَ
اٰمَنُوْا
وَعَمِلُوا
الصّٰلِحٰتِ
لَنُدْخِلَنَّهُمْ
فِی
الصّٰلِحِیْنَ
۟
3

৮-৯ নং আয়াতের তাফসীরআল্লাহ তাআলা সর্বপ্রথম তার তাওহীদের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার নির্দেশ দেয়ার পর এখন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিচ্ছেন। কেননা, পিতা-মাতার মাধ্যমেই মানুষ অস্তিত্বে এসে থাকে। পিতা সন্তানের জন্যে খরচ করে এবং তাকে লালন-পালন করে। আর মা তাকে স্নেহ দান করে, ভালবাসে এবং লালন-পালন করে থাকে। এজন্যেই আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করতে ও পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিয়ো না; তাদের সাথে বলো সম্মান সূচক নম্র কথা। মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত করো এবং বলল- হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।” (১৭:২৩-২৪) তবে এটা মনে রাখতে হবে যে, যদি তারা শিরকের দিকে আহ্বান করে তবে তাদের কথা মানতে হবে না। মানুষের জেনে রাখা উচিত যে, তাদেরকে আল্লাহ তা'আলার নিকট প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তারা যা করতো তা তিনি তাদেরকে জানিয়ে দিবেন। যদি মানুষ আল্লাহর সাথে শিরক করার ক্ষেত্রে তাদের পিতা-মাতার আদেশ না মানে এবং আল্লাহর উপর ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তবে অবশ্যই তিনি তাদেরকে সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত করবেন।হযরত সা'দ (রাঃ) বলেন, আমার ব্যাপারে চারটি আয়াত অবতীর্ণ হয়। এগুলোর মধ্যে একটি (আরবি) আয়াতটিও। এটা এজন্যে অবতীর্ণ হয় যে, আমার মা আমাকে বলেঃ “(হে সা’দ রাঃ)! আল্লাহ কি তোমাকে মায়ের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দেননি? আল্লাহর শপথ! তুমি যদি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)-এর নবুওয়াতকে অস্বীকার না কর তবে আমি পানাহার ছেড়ে দিয়ে মৃত্যুবরণ করবো।” সে তাই করে। শেষ পর্যন্ত লোকেরা জোরপূর্বক তার মুখ ফেড়ে তার মুখে খাদ্য ও পানীয় প্রবেশ করিয়ে দিতো। ঐ সময় উপরোক্ত আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। (এ হাদীসটি ইমাম তিরমিযী (রঃ) বর্ণনা করেছেন)