وَلَا
تُجَادِلُوْۤا
اَهْلَ
الْكِتٰبِ
اِلَّا
بِالَّتِیْ
هِیَ
اَحْسَنُ ۖۗ
اِلَّا
الَّذِیْنَ
ظَلَمُوْا
مِنْهُمْ
وَقُوْلُوْۤا
اٰمَنَّا
بِالَّذِیْۤ
اُنْزِلَ
اِلَیْنَا
وَاُنْزِلَ
اِلَیْكُمْ
وَاِلٰهُنَا
وَاِلٰهُكُمْ
وَاحِدٌ
وَّنَحْنُ
لَهٗ
مُسْلِمُوْنَ
۟
3

সৌজন্যের সাথে ছাড়া তোমরা গ্রন্থধারী (ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টান)দের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করো না;[১] তবে ওদের মধ্যে যারা সীমালংঘনকারী তাদের সাথে (তর্ক) নয়।[২] আর বল, ‘আমাদের প্রতি এবং তোমাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে আমরা বিশ্বাস করি[৩] এবং আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য তো একই এবং আমরা তাঁরই প্রতি আত্মসমর্পণকারী।’

[১] কারণ, তারা জ্ঞানী; কথা বুঝার ক্ষমতা ও শক্তি রাখে। সুতরাং তাদের সাথে তর্ক-বিতর্কের সময় কড়া মেজাজ ও রূঢ় ভাষা হওয়া বাঞ্ছিত নয়।

[২] অর্থাৎ, যে তর্ক-বিতর্ক করতে গিয়ে বাড়াবাড়ি করবে, তার সাথে শক্ত ভঙ্গিমায় কথা বলার অনুমতি তোমাদের জন্যও রয়েছে। অনেকে প্রথম দলের অর্থ ঐ সকল আহলে কিতাব নিয়েছেন, যারা মুসলমান হয়ে গিয়েছিল এবং দ্বিতীয় দলের অর্থ ঐ সকল গ্রন্থধারীরা যারা মুসলমান হয়নি; বরং ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টান ধর্মের উপর অটল ছিল। আর অনেকে 'সীমালংঘনকারী'-এর অর্থ ঐ সকল আহলে কিতাব নিয়েছেন, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক মনোভাব রাখত এবং কলহ ও যুদ্ধও করতে থাকত। অর্থাৎ, তাদের সাথে (তর্ক নয় বরং) যুদ্ধ কর, যে পর্যন্ত না তারা মুসলমান হয়ে যায় অথবা জিযিয়া-কর আদায় করে।

[৩] অর্থাৎ, তাওরাত ও ইঞ্জীলে আমরা বিশ্বাস করি। অর্থাৎ, এটাও আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণকৃত এবং তা ইসলামী শরীয়ত প্রতিষ্ঠা এবং মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর নবী হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আল্লাহর বিধান।