আমি ইব্রাহীমকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং তার বংশধরদের জন্য স্থির করলাম নবুঅত ও গ্রন্থ[১] এবং আমি তাকে পৃথিবীতে পুরস্কৃত করলাম;[২] পরকালেও সে নিশ্চয়ই সৎকর্মপরায়ণদের অন্যতম হবে। [৩]
[১] অর্থাৎ, ইসহাক (আঃ) এর ঔরসে ইয়াকূব (আঃ)-এর জন্ম হয়। (ইয়াকূব (আঃ)-এর অপর নাম ছিল ইস্রাঈল।) যাঁর ঔরসে বানী ইস্রাঈল বংশের সূত্রপাত হয় এবং তাদের মধ্যেই সমস্ত নবী আগমন করেন ও আসমানী কিতাব অবতীর্ণ হয়। শেষ পর্যায়ে নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) ইবরাহীম (আঃ)-এর দ্বিতীয় পুত্র ইসমাঈল (আঃ)-এর বংশে জন্মলাভ করে নবী হন এবং তাঁর উপর কুরআন অবতীর্ণ হয়।
[২] এখানে পুরস্কার বা প্রতিদান বলতে পৃথিবীর জীবিকা এবং সুনাম ও সুখ্যাতিও। অর্থাৎ, পৃথিবীর সকল ধর্মের লোক (খ্রিষ্টান, ইয়াহুদী এমনকি পৌত্তলিকরাও) ইবরাহীম (আঃ)-কে সম্মান ও শ্রদ্ধেয়ভাজন গণ্য করে থাকে। আর মুসলিমরা তো ইবরাহীম (আঃ)-এর ধর্মাদর্শের অনুসারী। তিনি তাদের নিকট সম্মানের পাত্র হবেন না কেন?
[৩] অর্থাৎ, পরকালেরও তিনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং সৎ লোকদের দলভুক্ত হবেন। এই বিষয়টি অন্যত্র এভাবে বলা হয়েছে,
{وَلَقَدِ اصْطَفَيْنَاهُ فِي الدُّنْيَا وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ} (১৩০) سورة البقرة
{وَآتَيْنَاهُ فِي الْدُّنْيَا حَسَنَةً وَإِنَّهُ فِي الآخِرَةِ لَمِنَ الصَّالِحِينَ } (১২২) سورة النحل