এভাবেই আল্লাহ তাআলা হযরত মারইয়াম (আঃ) ও হযরত ঈসার (আঃ) ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কুরআন কারীমে প্রায়ই হযরত যাকারিয়া (আঃ) ও হযরত ইয়াহইয়ার (আঃ) ঘটনার সাথে সাথেই হযরত মারইয়াম (আঃ) ও হযরত ঈসার (আঃ) ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। কেননা, তাঁদের মধ্যে পুরোপুরি সম্পর্ক ও সম্বন্ধ রয়েছে। হযরত যাকারিয়্যা (আঃ) পূর্ণ বার্ধক্যে পদার্পণ করেছিলেন এবং তার স্ত্রীও ছিলেন বন্ধ্যা। আর তিনিও বার্ধক্যে উপনীত হয়েছিলেন, এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সন্তান দান করেছিলেন। মহান আল্লাহ নিজের এই ক্ষমতা প্রদর্শনের পর স্বামী ছাড়াই শুধু স্ত্রী লোককে সন্তান দান করে তিনি নিজের আর এক ব্যাপক ক্ষমতা প্রকাশ করেছেন। সরায়ে আল-ইমরান ও সুরায়ে মারইয়ামেও এই শ্রেণী বিন্যাসই রয়েছে।‘যে নিজ সতীত্বকে রক্ষা করেছিল এই উক্তি দ্বারা হযরত মারইয়ামকে (আঃ) বুঝানো হয়েছে। যেমন মহামহিমান্বিত আল্লাহ সূরায়ে তাহরীমে বলেছেনঃ (আরবী) অর্থাৎ “(আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ইমরান-তনয়া মারইয়ামের (আঃ) যে তার সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে রূহ ফুকে দিয়েছিলাম।” (৬৬:১২) আল্লাহ বলেনঃ আমি তাকে ও তার পুত্রকে করেছিলাম বিশ্ববাসীর জন্যে এক নিদর্শন। যাতে বিশ্ববাসী আল্লাহ তাআলার সর্বপ্রকারের ক্ষমতা, সৃষ্টি কৌশলের ব্যাপক অধিকার ও স্বাধীনতা সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। হযরত ঈসা (আঃ) ছিলেন আল্লাহর কুদরতের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। তিনি নিদর্শন ছিলেন দানব ও মানব উভয় জাতির জন্যেই।