You are reading a tafsir for the group of verses 21:64 to 21:67
فَرَجَعُوْۤا
اِلٰۤی
اَنْفُسِهِمْ
فَقَالُوْۤا
اِنَّكُمْ
اَنْتُمُ
الظّٰلِمُوْنَ
۟ۙ
ثُمَّ
نُكِسُوْا
عَلٰی
رُءُوْسِهِمْ ۚ
لَقَدْ
عَلِمْتَ
مَا
هٰۤؤُلَآءِ
یَنْطِقُوْنَ
۟
قَالَ
اَفَتَعْبُدُوْنَ
مِنْ
دُوْنِ
اللّٰهِ
مَا
لَا
یَنْفَعُكُمْ
شَیْـًٔا
وَّلَا
یَضُرُّكُمْ
۟ؕ
اُفٍّ
لَّكُمْ
وَلِمَا
تَعْبُدُوْنَ
مِنْ
دُوْنِ
اللّٰهِ ؕ
اَفَلَا
تَعْقِلُوْنَ
۟
3

৬৪-৬৭ নং আয়াতের তাফসীর: আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহীমের (আঃ) কওম সম্পর্কে খবর দিচ্ছেন, যখন তিনি তাদেরকে যা বলার তা বললেন। তার কওম তার কথা শুনে নিজেদের বোকামীর কারণে নিজেদেরকেও ভৎসনা করতে লাগলো এবং অত্যন্ত লজ্জিত হলো। তারা পরস্পর বলাবলি করলোঃ “আমরা তো আমাদের দেবতাদের হিফাজতের জন্যে কাউকেও রেখে না গিয়ে চরম ভুল করেছি!" অতঃপর তারা চিন্তা ভাবনা করার পর হযরত ইবরাহীমকে (আঃ) বললোঃ “আমাদের দেবতাদেরকে কে ভেঙ্গেছে এ সম্পর্কে তুমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করতে বলছো এটা কেমন কথা? তুমি তো জানই যে, আমাদের দেবতাগুলি কথা বলতে পারে না?” অপারগতা, বিস্ময় ও অত্যন্ত নিরুত্তরতার অবস্থায় তাদেরকে এ কথা স্বীকার করতেই হলো যে, তাদের দেবতাদের কথা বলারও শক্তি নেই। কাজেই তিনি তাদেরকে জন্ধ করার বিশেষ সুযোগ। পেয়ে গেলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ তাদেরকে বললেনঃ “যারা কথা বলতেও পারে না এবং লাভ ও ক্ষতি করারও যাদের কোন ক্ষমতা নেই তাদের পুজা করা কেমন? তোমরা এতো নির্বোধ হচ্ছো কেন? তোমাদেরকে ও তোমাদের বাতিল মাবুদদেরকে ধিক! বড়ই পরিতাপের বিষয় যে, তোমরা এক আল্লাহকে ছেড়ে এসব বাজে জিনিসের ইবাদত করতে রয়েছে। এগুলোই ছিল ঐ দলীল যার বর্ণনা ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিলঃ “আমি ইবরাহীমকে (আঃ) তাঁর কওমের উপর আমার হুজ্জত বা দলীল প্রদান করেছিলাম। (যাতে তার কওম সত্য উপলব্ধি করতে পারে)।"