وَلَقَدِ
اسْتُهْزِئَ
بِرُسُلٍ
مِّنْ
قَبْلِكَ
فَحَاقَ
بِالَّذِیْنَ
سَخِرُوْا
مِنْهُمْ
مَّا
كَانُوْا
بِهٖ
یَسْتَهْزِءُوْنَ
۟۠
3

তোমার পূর্বেও অনেক রসূলকেই ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল; পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করত, তা বিদ্রূপকারীদেরকে পরিবেষ্টন করেছিল। [১]

[১] রসূল (সাঃ)-কে সান্তনা দেওয়া হচ্ছে যে, মুশরিকদের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপে দুঃখিত ও মনঃক্ষুণ্ণ হবে না। এরূপ বিদ্রূপ কোন নুতন কথা নয়; বরং তোমার পূর্বের সমস্ত নবীদের সাথে একই দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সেই আযাবই তাদের উপর পতিত হয়েছে যার ব্যাপারে তারা বিদ্রূপ করত। যে আযাব আসা তাদের ধারণায় ছিল অসম্ভব। যেমন অন্যত্র বলেছেন,{وَلَقَدْ كُذِّبَتْ رُسُلٌ مِّن قَبْلِكَ فَصَبَرُواْ عَلَى مَا كُذِّبُواْ وَأُوذُواْ حَتَّى أَتَاهُمْ نَصْرُنَا} অর্থাৎ, তোমার পূর্বেও অনেক রসূলগণকে অবশ্যই মিথ্যাবাদী বলা হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে মিথ্যাবাদী বলা ও ক্লেশ দেওয়া সত্ত্বেও তাদের নিকট আমার সাহায্য না আসা পর্যন্ত তারা ধৈর্য ধারণ করেছিল। (আনআমঃ ৩৪) এখানে রসূল (সাঃ)-এর সান্তনার সাথে সাথে কাফের ও মুশরিকদের জন্য হুঁশিয়ারী ও ধমক রয়েছে।