وَمَاۤ
اَرْسَلْنَا
مِنْ
رَّسُوْلٍ
اِلَّا
بِلِسَانِ
قَوْمِهٖ
لِیُبَیِّنَ
لَهُمْ ؕ
فَیُضِلُّ
اللّٰهُ
مَنْ
یَّشَآءُ
وَیَهْدِیْ
مَنْ
یَّشَآءُ ؕ
وَهُوَ
الْعَزِیْزُ
الْحَكِیْمُ
۟
3

এটা আল্লাহ তাআলার অসীম মেহেরবানী যে, তিনি প্রত্যেক নবীকে তাঁর কওমের ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছেন। যাতে বুঝতে ও বুঝাতে সহজ হয়। হযরত আবু যার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “মহামহিমান্বিত আল্লাহ প্রত্যেক নবীকে তাঁর কওমের ভাষাভাষী করে প্রেরণ করেছেন। সুতরাং তাদের উপর সত্য তো উদভাসিত হয়েই যায়, কিন্তু হিদায়াত ও গুমরাহী আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেই হয়ে থাকে। তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন কাজ হতে পারে না। তিনি জয়যুক্ত। তাঁর প্রতিটি কাজ নিপুণতায় পরিপূর্ণ। পথভ্রষ্ট সেই হয় যে ওর যোগ্য। আবার হিদায়াত লাভ সেই করে যে ওর উপযুক্ত পাত্র। যেহেতু প্রত্যেক নবী শুধুমাত্র নিজ নিজ কওমের নিকট প্রেরিত হতেন, সেহেতু তিনি তাঁর কওমের ভাষাতেই কিতাব লাভ করতেন এবং তিনিও সেই ভাষারই লোক হতেন। কিন্তু হযরত মুহাম্মদ (সঃ) ইবনু আবদুল্লাহর রিসালত ছিল সাধারণ। তিনি ছিলেন সারা দুনিয়ার সমস্ত কওমের জন্যে রাসূল। যেমন হযরত জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ “আমাকে এমন পাঁচটি জিনিস দেয়া হয়েছে।যেগুলি আমার পূর্ববর্তী নবীদের কাউকেও দেয়া হয়নি। ১. আমাকে এক মাসের পথের দূরত্বের প্রভাব দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে। (এক মাসের পথের দূরত্ব থেকে শত্রুরা আমার নামে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে) । ২, আমার জন্যে (সমস্ত) যমীনকে সিজদা’র স্থান ও পবিত্র বানানো হয়েছে। ৩. আমার জন্যে গনীমতের মালকে হালাল করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কারো জন্যে হালাল ছিল না। ৪. আমার জন্যে শাফায়াত করার অনুমতি রয়েছে। ৫. প্রত্যেক নবীকে শুধুমাত্র তাঁর কওমের নিকট প্রেরণ করা হয়েছিল। আর আমি সমস্ত মানুষের নিকট প্রেরিত হয়েছি। (এ হাদীসটি সহীহ বুখারীও সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে)এর আরো বহু সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে। আল্লাহ তাআলা এখানে ঘোষণা করেনঃ “হে নবী (সঃ)! তুমি বলে দাওঃ হে জনমণ্ডলী! আমি তোমাদের সকলের নিকট রাসূলরূপে প্রেরিত হয়েছি।”