قَالَتْ
رُسُلُهُمْ
اَفِی
اللّٰهِ
شَكٌّ
فَاطِرِ
السَّمٰوٰتِ
وَالْاَرْضِ ؕ
یَدْعُوْكُمْ
لِیَغْفِرَ
لَكُمْ
مِّنْ
ذُنُوْبِكُمْ
وَیُؤَخِّرَكُمْ
اِلٰۤی
اَجَلٍ
مُّسَمًّی ؕ
قَالُوْۤا
اِنْ
اَنْتُمْ
اِلَّا
بَشَرٌ
مِّثْلُنَا ؕ
تُرِیْدُوْنَ
اَنْ
تَصُدُّوْنَا
عَمَّا
كَانَ
یَعْبُدُ
اٰبَآؤُنَا
فَاْتُوْنَا
بِسُلْطٰنٍ
مُّبِیْنٍ
۟
3

তাদের রসূলগণ বলেছিল, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সম্বন্ধে কি কোন সন্দেহ আছে? তোমাদের পাপরাশি মার্জনা করবার জন্য[১] এবং নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তোমাদেরকে অবকাশ দিবার জন্য তিনি তোমাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন।’ তারা বলল, ‘তোমরা তো আমাদেরই মত মানুষ;[২] আমাদের পিতৃপুরুষগণ যাদের উপাসনা করত, তোমরা তাদের উপাসনা করা হতে আমাদেরকে বিরত রাখতে চাও।[৩] সুতরাং তোমরা আমাদের কাছে কোন অকাট্য প্রমাণ উপস্থিত কর।’ [৪]

[১] অর্থাৎ, আল্লাহ সম্বন্ধে তোমাদের সংশয় আছে, যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টা। এছাড়া তিনি তোমাদের কাছে ঈমান ও তাওহীদের দাওয়াতও শুধু তোমাদেরকে পাপ থেকে পবিত্র করার উদ্দেশ্যে পেশ করেন, তা সত্ত্বেও তোমরা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের স্রষ্টাকে মানতে প্রস্তুত নও এবং তাঁর দাওয়াতকে অস্বীকার কর?

[২] এটা সেই প্রশ্ন যা কাফেরদের মনে উদ্রেক হতে থাকে যে, মানুষ কিভাবে আল্লাহর অহী এবং নবুঅত ও রিসালতের অধিকারী হতে পারে?

[৩] এটা দ্বিতীয় প্রতিবন্ধক যে আমরা সেসব উপাস্যের পূজা কি করে বর্জন করি, যাদের পূজা আমাদের পূর্বপুরুষরা করে এসেছে? অথচ তোমাদের উদ্দেশ্য আমাদেরকে তাদের পূজা থেকে সরিয়ে দিয়ে এক উপাস্যের ইবাদতে লাগিয়ে দেওয়া।

[৪] প্রমাণ, নিদর্শন ও মু'জিযা তো প্রত্যেক নবীকে দেওয়া হয়েছিল। এর অর্থ এমন প্রমাণ, নিদর্শন অথবা মু'জিযা, যা দেখার জন্য তারা আকাঙ্ক্ষিত ছিল। যেমন; মক্কার মুশরিকরা নবী (সাঃ)-এর কাছে বিভিন্ন ধরনের মু'জিযা তলব করেছিল, যেগুলোর বিবরণ সূরা বানী ইস্রাঈলে আসবে।