You are reading a tafsir for the group of verses 13:40 to 13:41
وَاِنْ
مَّا
نُرِیَنَّكَ
بَعْضَ
الَّذِیْ
نَعِدُهُمْ
اَوْ
نَتَوَفَّیَنَّكَ
فَاِنَّمَا
عَلَیْكَ
الْبَلٰغُ
وَعَلَیْنَا
الْحِسَابُ
۟
اَوَلَمْ
یَرَوْا
اَنَّا
نَاْتِی
الْاَرْضَ
نَنْقُصُهَا
مِنْ
اَطْرَافِهَا ؕ
وَاللّٰهُ
یَحْكُمُ
لَا
مُعَقِّبَ
لِحُكْمِهٖ ؕ
وَهُوَ
سَرِیْعُ
الْحِسَابِ
۟
3

৪০-৪১ নং আয়াতের তাফসীর আল্লাহ তাআ’লা তাঁর রাসূলকে (সঃ) বলছেনঃ হে রাসূল (সঃ)! তোমার শত্রুদের উপর আমার শাস্তি যে আসবে তা আমি তোমার জীবদ্দশাতেই আনি বা তোমার মৃত্যুর পরই আনয়ন করি তাতে তোমার কি হয়েছে? তোমার কাজ তো শুধু আমার বাণী মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দেয়া। আর তা তো তুমি করেছে। তাদের হিসাব গ্রহণ এবং তাদেরকে বিনিময় প্রদানের দায়িত্ব আমার। তুমি শুধু তাদেরকে উপদেশ দিতে থাকো। তুমি তাদের উপর দারোগা বা রক্ষক নও। যে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং কুফরী করবে, তাদেরকে আল্লাহ স্বয়ং শাস্তির মধ্যে নিক্ষেপ করবেন। তাদের প্রত্যাবর্তন আমারই কাছে এবং তাদের হিসাব নিকাশ গ্রহণের দায়িত্বও আমার। তারা কি দেখে নাই যে, আমি যমীনকে তোমার দখলে আনয়ন করেছি। তারা দেখে না যে, জনবহুল স্থান ও সুউচ্চ অট্টালিকা ধ্বংসাবশেষ ও বিজনে পরিণত হচ্ছে? তারা কি লক্ষ্য করে না যে, মুসলমানরা কাফিরদের উপর আধিপত্য লাভ করছে। তারা অবলোকন করছে না যে, দিন দিন বরকত উঠে যাচ্ছে এবং মন্দ ও অকল্যাণ আসতে রয়েছে। মানুষ মরতে আছে এবং যমীন শ্মশানে পরিণত হচ্ছে? যদি স্বয়ং যমীনকে সংকীর্ণ করে দেয়া হতো তবে এর উপর মানুষের কুঁড়ে ঘর নির্মাণ করাও অসম্ভব হয়ে পড়তো। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে দিন দিন মানুষ এবং মানুষও গাছপালা কমতে থাকা। এর দ্বারা উদ্দেশ্য যমীনের সংকীর্ণতা নয়, বরং মানুষ মরে যাওয়া। বিদ্বান মণ্ডলী, ধর্মশাস্ত্রবিধ এবং ভাল লোকদের মৃত্যুও হচ্ছে যমীনের ধ্বংস হওয়া। এ ব্যাপারে একজন আরব কৰি নিম্নরূপ কবিতা বলেছেনঃ (আরবি) অর্থাৎ “যে ভূমিতে কোন (দ্বীনের) আলেম জীবন যাপন করেন সেই ভূমি জীবন্তরূপ লাভ করে, আর যখন আলেম মৃত্যু মুখে পতিত হন তখন সেই ভূমিও মরে যায় অর্থাৎ বিজনে পরিণত হয়। যেমন, যখন ভূমিতে বৃষ্টি বর্ষিত হয় তখন তা সবুজ শ্যামল হয়ে ওঠে, কিন্তু যদি তাতে বৃষ্টিপাত না হয় তবে তা শুকিয়ে যায় এবং অনুর্বর হয়ে পড়ে।” সুতরাং এই আয়াতের ভাবার্থ হচ্ছে ইসলাম শিরকের উপর জয়যুক্ত হওয়া যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেছেনঃ (আরবি)অর্থাৎ “অবশ্যই আমি তোমাদের চতুষ্পর্শ্বের গ্রামগুলিকে ধ্বংস করে দিয়েছি।” (৪৬: ২৭) এটা ইমাম ইবনু জারীরেরও (রঃ) পছন্দনীয় উক্তি।