তারা বলল, ‘তবে কি তুমিই ইউসুফ?’[১] সে বলল, ‘আমিই ইউসুফ এবং এই আমার সহোদর; আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন; যে ব্যক্তি সংযম ও ধৈর্য অবলম্বন করে, আল্লাহ সেইরূপ সৎকর্মপরায়ণদের শ্রমফল নষ্ট করেন না।’ [২]
[১] ভায়েরা যখন মিসর-অধিপতির মুখ থেকে সেই ইউসুফের কথা শুনলেন, যাকে বাল্যকালে তাঁরা কানআনের এক অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করে দিয়েছিলেন, তখন তাঁরা অবাক হলেন এবং তাঁর দিকে মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে ভাবলেন, ব্যাপার এমন তো নয় যে, যিনি আমাদের সাথে আলাপ করছেন, তিনিই ইউসুফ? তা নাহলে ইউসুফের ঘটনা তিনি কিভাবে জানতে পারলেন? সুতরাং তাঁরা প্রশ্ন করলেন যে, তুমিই ইউসুফ তো নও?
[২] প্রশ্নের জবাবে স্বীকারোক্তির সাথে সাথে আল্লাহর অনুগ্রহের কথা উল্লেখ এবং ধৈর্য ও সংযমের শুভ পরিণামের কথা বর্ণনা করে বললেন যে, তোমরা আমাকে নিঃশেষ করার ষড়যন্ত্রে কোন প্রকার ত্রুটি করনি, কিন্তু এটা আল্লাহর দয়া ও মেহেরবানী যে, তিনি না শুধু আমাকে কুয়া থেকে পরিত্রাণ দিলেন; বরং মিসরের রাজত্বও দান করলেন। আর এটা হলো সেই ধৈর্য ও সংযমের সুফল, যার তওফীক আল্লাহ আমাকে দান করেছিলেন।