আল্লাহ তাআ’লা বলেন যে, নবীদের ঘটনাবলী, মুসলমানদের মুক্তি এবং কাফিরদের ধ্বংসের কাহিনীর মধ্যে জ্ঞানবানদের জন্যে বড়ই শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। কুরআন কারীম বানানো কথার কিতাব নয়। এটা পূর্ববর্তী আসমানী কিতাব সমূহের সত্যতার দলীল। ঐ সব গ্রন্থে আল্লাহ তাআ’লার যে সব সঠিক ও সত্য কথা রয়েছে সেগুলির স্বীকারোক্তি করে। আর যেগুলির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে দেয়া হয়েছে সেগুলি ছাঁটাই করে দেয়। ঐ গুলির যে সব কথা বাকী রাখার যোগ্য সেগুলি বাকী রাখার এবং যেগুলি রহিত হয়ে গেছে সেগুলি রহিত হয়ে যাওয়ার বর্ণনা কুরআন কারীম দিয়ে থাকে। পবিত্র কুরআন প্রত্যেক হালাল, হারাম, পছন্দনীয় এবং অপছন্দনীয় বিষয়ের স্পষ্ট ও খোলাখুলি বর্ণনা দিয়ে থাকে। আনুগত্য, অবশ্য করণীয়, মুস্তাহাব, মাকরূহ ইত্যাদির বর্ণনা দেয়। সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিত খবর কুরআন পাক প্রদান করে থাকে। মহা মহিমান্বিত আল্লাহর গুণাবলী বর্ণনা করে এবং বান্দারা তাদের সষ্টিকর্তার ব্যাপারে যে ভুলত্রুটি করে থাকে তার সংশোধন করে। সৃষ্টজীব আল্লাহর কোন গুণ বা বিশেষণ তার সৃষ্টির মধ্যে আনয়ন করবে এর থেকে পবিত্র কুরআন বাধা দিয়ে থাকে। সুতরাং এই কুরআন মুমিনমু’মিনদের জন্যে হিদায়াত ও রহমত। এর মাধ্যমে তাদের অন্তর বিভ্রান্তি থেকে হিদায়াত, মিথ্যা হতে সত্য এবং অকল্যাণ হতে কল্যাণের পথ পেয়ে থাকে। আর তারা বান্দার প্রতিপালকের কাছে দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভ করে থাকে। আমাদেরও প্রার্থনা এই যে, আল্লাহ তাআ’লা যেন আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে এই রূপ মুমিনমু’মিনদের সাথেই রাখেন এবং কিয়ামতের দিন যখন কতকগুলি চেহারা উজ্জ্বল হবে, আর কতকগুলি চেহারা হবে কালিমাযুক্ত, তখন যেন আমাদেরকে উজ্জ্বল চেহারা বিশিষ্ট লোকদেরই অন্তর্ভুক্ত করেন। আমীন!